গতবারের ধাক্কা থেকে শিক্ষা, এবার ‘ফেলিউর বেসড’ পদ্ধতিতে রওনা হচ্ছে চন্দ্রযান ৩

গতবারের থেকে অনেকগুলি দিকে শিক্ষা নিয়ে এগোচ্ছে ইসরো। চাঁদে নামার আগের মুহূর্তেও সমস্যা হতে পারে। পরিকল্পনা মতো কাজ নাও করতে পারে ইসরোর চন্দ্রযান। তাই এবার আঁটঘাট বেঁধে প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরো। সবরকম ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে চন্দ্রযান ৩। চন্দ্রযান ২ চাঁদে অবতরণের আগে সামান্য এদিক ওদিক হওয়ায় মিশন ফেল করে। চাঁদের পিঠে ভেঙে পড়ে ল্যান্ডার। সেই ভুল যাতে এবার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা। আগামী ১৪ জুলাই চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৩। তার আগেই সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘ফেলিউর বেসড’ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে চন্দ্রযান ৩। আগের বারের মিশন অর্থাৎ চন্দ্রযান ২ তৈরি করা হয়েছিল ‘সাকসেস বেসড’ কায়দায়।

আরও পড়ুন: স্কটিশ চার্চ কলেজে কেন বাতিল সমকামীদের নিয়ে ছবি? HT বাংলাকে কী বললেন পরিচালক

আরও পড়ুন: ফলের রস থেকে তৈরি শরবত খেলেও কি বিপদ? ডায়াবিটিস এড়াতে কী কী এড়াবেন

‘ফেলিউর বেসড’ পদ্ধতি কী? 

চন্দ্রযান ২-এর নকশা হয়েছিল সাকসেস বেসড পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে কোনও কারণে পরিকল্পনা মাফিক সবকিছু না হলে মিশন ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আদতে ঠিক তাই ঘটেছিল। কিন্তু ফেলিউর বেসড পদ্ধতি ঠিক তার উল্টো। অর্থাৎ কোনও কারণে মিশনের কোনও ধাপ ব্যর্থ হলে তার বিকল্প কায়দাও থাকছে। ফলে একটা ভুলের জন্য গোটা মিশন ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম। পাশাপাশি ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ  জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ৩-এর নকশায় সেই ভুলগুলি থাকছে না যা চন্দ্রযান ২-এ ছিল। এর ফলে আগেরবারের মতো গোটা মিশনে কোনওরকম দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও কম। প্রসঙ্গত, এই দিন ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযানের ‘এন্ড-২-এন্ড কেপিবিলিটি ইন সেফ ল্যান্ডিং’এর কথা। গতবার চাঁদের পিঠে নামার আগে ঘটে যায় অবাঞ্ছাত দুর্ঘটনা‌। সেই বিপদ এড়াতেই ল্যান্ডিং প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষের পদ্ধতি সম্পূর্ণ নিরাপদভাবে তৈরি করা হয়েছে‌।  

লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩-এ মহড়া

লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ বা এলভিএম৩-এ ইতিমধ্যেই মহড়া করা হয়েছে। মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এমনটাই জানান ইসরোর চেয়ারম্যান। ১৪ জুলাই দুপুর ২ টো বেজে ৩৫ মিনিটে চাঁদে রওনা দেবে চন্দ্রযান ৩। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চন্দ্রযান ৩-এর উৎক্ষেপণ হবে। এস সোমনাথ এই দিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ২৪ ঘন্টা ধরে চন্দ্রযান ৩ লঞ্চ করার মহড়া। কীভাবে গোটা প্রক্রিয়াটা হবে তা একদিন ধরে ঝালিয়ে নিয়েছে মিশনের সঙ্গে যুক্ত সবাই। মিশনের শুরুতেও কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।