ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রতিরোধে জাতিসংঘের পদক্ষেপে সৌদি আরবের স্বস্তি প্রকাশ

ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রতিরোধে জাতিসংঘের সজাগ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। সুইডেনে ধর্ম অবমাননার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটির মানবাধিকার কাউন্সিল কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর বুধবার এক বিবৃতিতে বিষয়টিতে সমর্থন জানায় রিয়াদ।   

মানবাধিকার কাউন্সিল জানায়, বৈষম্য, শত্রুতা বা সহিংসতাকে উসকে দেয় এমন ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রতিরোধ ও এসব ঘটনায় বিচার করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান রয়েছে রেজুলেশনে।

সৌদি আরব বলছে, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের জোরালো দাবির পর এ রেজুলেশনটি এসেছে। এটি ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক। আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা নিশ্চিত করা মানবিক মূল্যবোধের প্রচার।

রিয়াদ জানায়, সংলাপ, সহনশীলতা এবং মধ্যপন্থার সমর্থনে তার সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে তারা। ঘৃণা ও চরমপন্থা ছড়াতে চায় এমন সব ধ্বংসাত্মক কাজ এড়িয়ে যাবে সৌদি। 

উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সেক্রেটারি-জেনারেল জাসেম আলবুদাইউইও এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সুইডেনে চরমপন্থীদের দ্বারা কোরআন পোড়ানোর মতো ঘটনা ধর্মীয় বিদ্বেষকে উৎসাহিত করে। সহিংসতা ও বৈষম্যকেও বাড়িয়ে দেয়। এমন ঘৃণ্য কাজ মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক রেজুলেশনের প্রয়োজন ছিল।’

আলবুদাইউই বলেন, ‘জিসিসি দেশগুলো সব সময় বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং ধর্মের মধ্যে সহনশীলতা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া চায়। এটা মানবাধিকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতার ওপর নির্ভর করে।’

পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে পবিত্র কোরআনের একটি অনুলিপিতে আগুন দেন সালওয়ান মোমিকা নামের এক ব্যক্তি। তিনি ইরাকি বংশোদ্ভূত আশ্রয়প্রার্থী বলে জানা গেছে। গত সপ্তাহে সুইডিশ পুলিশ তার বিরুদ্ধে ‘উত্তেজনা তৈরির’ অভিযোগ এনেছে।

এ ঘটনায় গোটা বিশ্বে নিন্দার ঝড় বইছে।

সূত্র: আরব নিউজ