Guillain-Barre syndrome: ৩ মাস জরুরি অবস্থা পেরুতে! ব্যাপক বাড়ছে ‘গিলেন ব্যারে’ রোগ, কেন এত ভয় এটি নিয়ে

একটি রোগের জেরেই সন্ত্রস্ত গোটা পেরু। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে ‘গিলেন ব্যারে’ নামের একটি কঠিন রোগ। ইতিমধ্যেই সে দেশের ১৬৭টি জন আক্রান্ত হয়েছে এই‌ রোগে। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে প্রশাসন। তাই আগাম সতর্কতা জারি করেছে পেরু সরকার। ‘গিলেন ব্যারে’ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আপাতভাবে কম মনে হলেও রোগটি বেশ ভয়ানক বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই রোগে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্নায়ুকে সরাসরি আক্রমণ করে। তবে কেন করে, কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া এর জন্য দায়ী, তার কোনও হদিশ মেলেনি এখনও। মূলত ৫০ বছরের কাছাকাছি ব্যক্তিদেরই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। 

আরও পড়ুন: স্কটিশ চার্চ কলেজে কেন বাতিল সমকামীদের নিয়ে ছবি? HT বাংলাকে কী বললেন পরিচালক

আরও পড়ুন: ফলের রস থেকে তৈরি শরবত খেলেও কি বিপদ? ডায়াবিটিস এড়াতে কী কী এড়াবেন

কেন ভয়ানক ‘গিলেন ব্যারে’ রোগ?

চিকিৎসাবিজ্ঞানে এখনও পর্যন্ত রোগটি সারানোর কোনও ওষুধ নেই। মূলত সে কারণেই রোগটি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে গোটা একটি দেশ। তবে শুধু ওষুধ নয়, অজানা রোগ সংক্রমণের পদ্ধতিও। ফলে কীভাবে কাদের মধ্যে এই রোগ ছড়াতে পারে, তা কেউ জানে না। বিজ্ঞানীরাও এই ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কিছুই। তবে দেখা গিয়েছে, এই রোগে আক্রান্তদের জিকা ভাইরাস, কোভিড ও ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। এই রোগে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। এর পর ধীরে ধীরে স্নায়ুর ক্ষতি করে মৃত্যু ডেকে আনে। প্রাথমিকভাবে হাত ও পা অবশ হয়ে যায় গিলেন ব্যারেতে। এর পর ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়ায় রোগ। হাসপাতালে ভর্তি করলেও রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। 

কোন কোন উপসর্গ দেখা দেয়?

১. হাত পা অবশ হয়ে আসা। প্রাথমিকভাবে পায়ের নিচ দিক থেকে শুরু হয় অবশভাব। 

২. আঙুল, পায়ের গোড়ালি, মুখের নানা অংশে শিরশিরানি হতে পারে।

৩. খাবার চিবোতে, গিলতে, কথা বলতে অসুবিধা

৪. চোখ সব কিছু দুটো দেখা (ডাবল ভিশন), দেখতে না পাওয়া, চোখের মণি ঘোরাতে না পারা

৫. বিভিন্ন অঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা, রাতের দিকে ব্যথা বেড়ে যাওয়া

৬. হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যাওয়া, পেটের গণ্ডগোল বেড়ে যাওয়া একইসঙ্গে প্রস্রাব চাপতে না পারা

৭. প্রায়ই শ্বাসকষ্ট হতে থাকা, রক্তচাপ হঠাৎ হঠাৎ ওঠানামা করা

৮. চরম অবস্থায়  পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস হয়।