Paracetamol from paper waste: আবর্জনা দিয়েই প্যারাসিটামল বানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা! বাজারে আসছে কবে? সস্তা হবে কি

বর্তমানে নানারকম ওষুধ তৈরি করতে খনিজ তেল থেকে উৎপন্ন উপাদান কাজে লাগাতে হয়। এর জন্য ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে প্রায়ই নির্ভর করতে হয় জীবাশ্ম জ্বালানির উপর। এবার সেই দিন শেষ হতে চলল। সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত নয়া পদ্ধতি ওষুধ তৈরিতে অন্য দিশা দেখাচ্ছে। কাগজ কারখানার বর্জ্য থেকেই তৈরি করা সম্ভব আমাদের অতিপরিচিত কিছু ওষুধ। ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা বর্তমানে পাইন গাছের উপাদান ব্যবহার করে বানিয়ে ফেলেছেন প্যারাসিটামল ও আইবুপ্রোফেনের মতো কিছু ওষুধ। প্রসঙ্গত, পাইন গাছের এই উপাদান কাগজ তৈরির কারখানার বর্জ্য পদার্থেও পাওয়া যায়। তেলজাত রাসায়নিকের বদলে এই ধরনের উপাদান ব্যবহার করে পরিবেশ রক্ষার বার্তাই দিতে চাইছেন ব্রিটেনের ওই গবেষকদল।

আরও পড়ুন: Life Hacks: বর্ষাতেও ঝটপট শুকোবে কাপড়, মনে রাখুন ৫ টিপস

আরও পড়ুন: মগজের দৌড়ে মানুষকেও হার মানায় মৌমাছি! ভবিষ্যৎ নিয়ে মজার কথা জানালেন বিজ্ঞানীরা 

মূলত যে রাসায়নিক যৌগটি এই ধরনের ওষুধের মূল উপাদান, তা হল বিটা পাইনিন। প্রসঙ্গত, এটি টারপেন্টাইন নামের একটি যৌগ থেকে পাওয়া যায়। টারপেন্টাইন আসলে ভার্নিশিংয়ের কাজে লাগে। আমাদের অতিপরিচিত উপাদান তারপিন তেলই হল টারপেন্টাইন। প্রসঙ্গত, এটির থেকে আরও বেশ কিছু ওষুধের যৌগও তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। সেই তালিকায় রয়েছে, বিটা ব্লকারসের মতো ওষুধও। মূলত, এই ধরনের ওষুধ হার্টের স্পন্দন ঠিক রাখতে কাজে লাগে। অন্য দিকে অ্যাজমার ওষুধ তৈরি করতেও কাজে লাগছে টারপেন্টাইন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে পরিষ্কার করার উপাদনও তৈরি হচ্ছে এর সাহায্যে। বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ জোস টিবেটস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, টারপেন্টাইন থেকে ওষুধ তৈরির এই প্রক্রিয়াতে মূলত কাগজ কারখানার বর্জ্য লাগে। সেই বর্জ্য পদার্থকে কাজে লাগিয়ে দামি ও দরকারি বেশ কিছু ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে। শুধু ওষুধ নয়, সংবাদ মাধ্যমকে জোস বলেছেন, পারফিউম তৈরিতেই এগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে।

কন্টিনিউয়াস ফ্লো রিয়্যাকটর নামে একটি বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন জোসের গবেষক দল। এই প্রক্রিয়ায় অনবরত রাসায়নিক বিক্রিয়া চলতেই থাকে। জোস বলেন, কনভেয়র বেল্ট যেমন অনবরত ঘুরতে থাকে, তেমনই কাজ করে এটি। এই প্রক্রিয়াতেই তৈরি হয় আইবুপ্রোফেনের মতো নানা ওষুধ। খরচের দিক থেকেও কী সাশ্রয়ী এই পদ্ধতি? বিজ্ঞানীরা বলছেন, খরচের দিক থেকে খনিজ তেলের থেকে কিছুটা দামি এই পদ্ধতি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই খরচও কমে আসতে পারে বলেই ধারণা বিজ্ঞানীদের। বরং তাঁদের মত, পরিবেশ বাঁচাতে কিছু বেশি খরচ করলে পরে অনেক লাভের আশা রয়েছে।