মুজিবের কাছে বোল্ড শান্ত

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৩ ওভারে ১৬/১ (লিটন ১০*, শান্ত ২*, রনি ৪) লক্ষ্য ১৫৫ রান।

আফগানিস্তান ২০ ওভারে ১৫৪/৭ (নবী ৫৪*, মুজিব ০*; রশিদ ৩, ওমরজাই ৩৩, নাজিবউল্লাহ ২৩, জানাত ৩, ইব্রাহিম ৮, গুরবাজ ১৬, জাজাই ৮)

প্রথম ওভারেই উইকেট হারালো বাংলাদেশ

প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন লিটন দাস। পরের দুটি বল দেখেশুনে খেলেন রনি তালুকদার। চতুর্থ বলে চার মেরে রানের খাতা খোলেন তিনি। তারপর আর দুই বল ছিলেন ক্রিজে। ষষ্ঠ বলে বোল্ড হন রনি। তাকে ফেরান ফজল হক ফারুকী।

বাংলাদেশের চাই ১৫৫ রান

ডেথ ওভারে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন আফগানিস্তানের দুই ব্যাটার মোহাম্মদ নবী ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তাতে শুরুতে দারুণ বোলিং করলেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে হচ্ছে স্বাগতিকদের। শেষ চার ওভারে বাংলাদেশ হজম করেছে ৫৩ রান। এই সময়ে মোস্তাফিজ তার দুই ওভারে ১৪ ও ১১  রান দেন। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান দেন সমান ১৪টি করে রান। ৭ উইকেটে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১৫৪ রান। 

ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতে হাফ সেঞ্চুরি করেন নবী। মোস্তাফিজুর রহমানকে চার মেরে ৩৯ বলে পঞ্চাশ ছোঁন তিনি। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে রশিদ আউট হন নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ হয়ে। ৩ রান করেন তিনি। ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন নবী। ৪০ বলের ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ১ ছয়। তার সঙ্গে আজমতউল্লাহ ওমরজা্ইয়ের ৩৩ রানের ক্যামিও আফগানদের সম্মানজনক স্কোর এনে দেয়।

ঝড় তুলে সাকিবের শিকার ওমরজাই 

সাকিব আল হাসান প্রথম দুই বলে ছক্কা হজম করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের কাছে। শেষ বলে তাকে থামালেন বাঁহাতি স্পিনার। ১৮ বলে ৬ চারে ৩৩ রান করে তাসকিন আহমেদের ক্যাচ হন আফগান ব্যাটার। ৩১ বলে ৫৬ রানের জুটি ভেঙে যায়।

খরুচে তাসকিন-মোস্তাফিজ

ডেথ ওভারে মোহাম্মদ নবী ঝড় তুলেছেন। তাসকিন আহমেদ ১৭তম ওভারে ১৪ রান দেন। একটি করে ছক্কা মারেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও মোহাম্মদ নবী। পরের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানও সমান রান দেন। ছয় মারেন ওমরজাই, চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মারেন নবী।

লিটনের কঠিন ক্যাচে মিরাজের ব্রেকথ্রু

২ রানে চার উইকেট পড়ার পর নাজিবউল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবী প্রতিরোধ গড়েন। এই জুটি ভেঙে ব্রেকথ্রু আনলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নাজিবউল্লাহ জাদরানের ব্যাট ছুঁয়ে বল ভিন্ন গতিপথে এগোলেও ক্ষিপ্রতার সঙ্গে বল গ্লাভসে জমান লিটন দাস। ৩৫ রানের জুটি ভেঙে যায়। ৮৭ রানে ৫ উইকেট পেলো বাংলাদেশ।

সাকিব নেন ২ উইকেট

প্রথম ওভারেই সাকিবের সাফল্য

পাওয়ার প্লের পর শরিফুল ইসলাম বল হাতে নিয়েই মোহাম্মদ নবীর কাছে দুটি চার হজম করেন। বল হাতে নেন সাকিব আল হাসান। প্রথম ওভারেই সাফল্য মিললো। বাংলাদেশের অধিনায়ক ফেরালেন করিম জানাতকে। ৩ রানে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ হন আফগান ব্যাটার। ৫২ রানে চতুর্থ উইকেট লো বাংলাদেশ।

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের দাপট

পাওয়ার প্লেতে দারুণ করলো বাংলাদেশ। তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারকে ফিরিয়ে আফগানিস্তানকে চেপে ধরেছে স্বাগতিকরা। ৪০ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা্

নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।

লিটনকে ক্যাচ তুলে দিলেন ইব্রাহিম

শরিফুল ইসলাম প্রথম ওভারেই পেলেন সাফল্য। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে ইব্রাহিম জাদরানকে ফেরান বাংলাদেশি পেসার। তার বল বুঝতে না পেরে লিটন দাসকে সহজ ক্যাচ দেন। যেন লিটনের সঙ্গে ক্যাচ প্র্যাকটিস করছেন তিনি। বাংলাদেশ সফরে চতুর্থবার শরিফুলের শিকার হলেন ইব্রাহিম। ৬ বলে ৮ রান করেন তিনি। ৩২ রানে তৃতীয় উইকেট পেলো বাংলাদেশ।

তাসকিনের শিকার গুরবাজ

রহমানউল্লাহ গুরবাজ ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তাকে থামতে হলো বিধ্বংসী হওয়ার আগেই। তাসকিন আহমেদের বলে স্কয়ার লেগে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ হন তিনি। ১৬ রান করেন গুরবাজ। ২৬ রানে বাংলাদেশ পেলো ২ উইকেট।

তাসকিন পেলেন উইকেট

জাজাইকে আউট করলেন নাসুম

আগের ওভারের শেষ বলে তাসকিন আহমেদকে ছয় মারেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। নাসুম আহমেদের প্রথম বলও ছক্কা হাঁকান হযরতউল্রাহ জাজাই। তবে পরের বলেই তৌহিদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ১০ বলে ৮ রান করেন আফগান ব্যাটার। ১৬ রানে প্রথম উইকেট পেলো বাংলাদেশ।

দুর্দান্ত ডাইভে বল ধরে রাখতে পারেননি রনি

দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বল। তাসকিন আহমেদের বলে রহমানউল্লহ গুরবাজের শট কভার পয়েন্ট থেকে পেছনে দৌড়ে এসে দুর্দান্ত ডাইভে বল ধরেন রনি তালুকদার। কিন্তু মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর বল ধরে রাখতে পারেননি।

প্রথম ওভারে নাসুম আহমেদ ২ রান দেন। 

টসে জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি সিরিজের লড়াই শুরু। ওয়ানডে সিরিজ হারের আক্ষেপ ভুলে নতুন শুরুর পালা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুক্রবার সিলেটে টসে জিতে বোলিং নিয়েছে বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশ শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ওই দলের একাদশে থাকা রিশাদ হোসেন ও হাসান মাহমুদ নেই আফগানদের বিপক্ষে। মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ ঢুকেছেন একাদশে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টির একাদশে থাকা সাদিকুল্লাহ আতাল ও উসমান গনির বদলে জায়গা পেয়েছেন হযরতউল্লাহ জাজাই ও নাজিবউল্লাহ জাদরান।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস (উইকেটকিপার), রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), হযরতউল্লাহ জাজাই, ইব্রাহিম জাদরান, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, করিম জানাত, রশিদ খান (অধিনায়ক), মুজিব উর রহমান, ফরিদ আহমেদ মালিক, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ফজল হক ফারুকী।

এবার বাংলাদেশের সামনে টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ

ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো খেলে ওয়ানডে। কিন্তু এই ফরম্যাটেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার শুরু হচ্ছে তাদের কাছে সবচেয়ে কঠিন ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি। এটা স্বীকৃত কুড়ি ওভারের ক্রিকেট আফগানরা দুর্দান্ত একটি দল। তাই নিশ্চিতভাবে সিলেটে শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ।