WHO on artificial sweetener: কৃত্রিম চিনি থেকে ক্যানসার হতে পারে! WHO বলে দিল, রোজ বড়জোর কতটা খেতে পারেন

ক্যানসার ডেকে আনার পিছনে হাত থাকতে পারে কৃত্রিম শর্করা বা চিনির। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে থাকা একটি কমিটির তরফে এমনটাই জানানো হল। তবে কৃত্রিম চিনি aspartame-কে এখনও পর্যন্ত ‘সম্ভাব্য কারসিনোজেন (যা ক্যানসার ঘটায়) ’-এর তালিকায় রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। সম্ভাব্য বলার কারণ? বিজ্ঞানীদের কথায়, কৃত্রিম চিনিই যে ক্যানসারের কারণ, তার সপক্ষে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি এখনও। সম্পূর্ণ তথ্য প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত একে সম্ভাব্যের তালিকাতেই রাখছেন বিজ্ঞানীরা‌। প্রসঙ্গত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে কোনও খাবার থেকে রোগ ছড়াতে পারে কিনা দেখার জনর দুটি সংস্থা রয়েছে‌। একটি সংস্থা খাবারটি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর কিনা তা দেখার চেষ্টা করে। অন্য সংস্থাটি খাবারের কতটা পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর তার পরিমাপ করে।

আরও পড়ুন: ঝক্কি কমল চিকিৎসকদের! ব্রেন টিউমারের প্রকৃতি নিমেষে বলে দেবে রোবট

আরও পড়ুন: সবুজ চুলে গজাচ্ছে জিভে, তামাকই নাকি কারণ! কেন বলছেন বিজ্ঞানীরা

প্রসঙ্গত কৃত্রিম চিনি বা অ্যাসপারটেম কতটা খাওয়া উচিত, তার একটি পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে আগেই নির্ধারিত করা হয়েছিল। সারা দিনে শরীরের প্রতি এক কেজিতে ৪০ মিলিগ্রামের বেশি অ্যাসপারটেম প্রবেশ করলে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। প্রতিদিনের এই পরিমাপটিই আপাতত মেনে চলতেই বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই দিন তাই সেই পরিমাণে কোনও রদবদল হয়নি। ঠাণ্ডা পানীয় থেকে চুইংগাম, বাজারজাত অধিকাংশ মিষ্টি দ্রব্যের মধ্যেই থাকে অ্যাসপারটেম। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত এই কৃত্রিম চিনি প্রায় সবরকম মিষ্টি খাবারেই ব্যবহার করা হয়।

ঠাণ্ডা পানীয় কৃত্রিম চিনি দিয়ে খাবেন না সাধারণ চিনি দিয়ে, এমনটা ইতিমধ্যেই অনেকে ভাবতে শুরু করেছেন। তাদের জন্য এই দিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান পুষ্টিবিশেষজ্ঞ ফ্রানসেসকো ব্রাঙ্কা একটি পরামর্শ দেন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ঠাণ্ডা পানীয় সাধারণ চিনি বা কৃত্রিম চিনি দিয়ে খাওয়ার বদলে আরেকটি বিকল্পও কিন্তু রয়েছে‌। তা হল শুধু জল খাওয়া! প্রসঙ্গত, কথাটা আপাতভাবে রসিকতা মনে হলেও ঠাণ্ডা পানীয়ের ক্ষতিকর দিকগুলি মাথায় রেখেই এমন মন্তব্য করেন ফ্রানসেসকো। শুক্রবারের প্রথম ঘোষণায় ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার’এর তরফে জানানো হয় কৃত্রিম চিনি একটি সম্ভাব্য কারসিনোজেন। তবে কতটা পরিমাণ? সেটা ঠিক করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ফুড অ্যান্ড এগ্ৰিকালচার অর্গানাইজেশনের যৌথ কমিটি জয়েন্ট কমিটি অন ফুড অ্যাডিটিভস বা জেইসিএফএ। জেনেভার এই সংস্থার শুক্রবার আগের পরিমাণকেই অপরিবর্তিত রাখে।