কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় একটি চাতালের সামনের সড়কের পাশ থেকে ভবঘুরে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৪ জুলাই) সকালে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের সবুজপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। চাতালের অভ্যন্তরে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
রৌমারী থানার ওসি রূপকুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী নারী (৪৮) ওই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কয়েক বছর ধরে ভবঘুরে ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় তাকে প্রায়ই ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন তারা।
শৌলমালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মন্ত্রীর চাতাল নামে পরিচিত কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের একটি চাতালের সামনের রাস্তার পাশের জমিতে ওই নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। ওই নারীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে যৌন নির্যাতন করার পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, চাতাল চত্বরের প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত ছিল। চাতালটির অভ্যন্তরে ফটকের কাছে একটি চালা ঘরে থাকা ইটের টুকরা ও ঘরের মেঝের মাটিতে রক্তের ছাপ পাওয়া গেছে। সেখানে ইট দিয়ে ওই নারীর মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘চাতালটি প্রতিমন্ত্রীর মালিকানাধীন। তবে সেটি বর্তমানে পরিত্যাক্ত। ওসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ আলামত সংগ্রহ করেছে। প্রকৃত ঘটনা কী তা তদন্ত করছে পুলিশ।’
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, সবুজপাড়া এলাকাটি মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। সংঘবদ্ধ মাদকাসক্তরা চাতালের ভেতরে ওই নারীকে নির্যাতন করে হত্যা করে থাকতে পারেও বলে সন্দেহ স্থানীয়দের।
এ ব্যাপারে জানতে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের মোবাইলে ফোন দিলে তার নম্বর এনগেজ পাওয়া গেছে।
ওসি রূপকুমার সরকার বলেন, ‘ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার আগে কোনও কিছুই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।’