Bengal Panchayat Poll Results: নারায়ণগড়ে উদ্ধার হল CPMকে ভোট দেওয়া বান্ডিল বান্ডিল ব্যালট, মিলল ভোটদানের সিলও

পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনার পর একে একে কেটে গিয়েছে ৩টে দিন। এখনো রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঝোপ – ঝাড় থেকে উদ্ধার হচ্ছে ভোট দেওয়া পরিত্যক্ত ব্যালট পেপার। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে গণনাকেন্দ্রের পাশে পাওয়া গেল প্রচুর আধপোড়া ব্যালট। যার প্রায় সবগুলিতেই ভোট পড়েছে সিপিআইএমের পক্ষে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, DA আন্দোলনকারীরা এই কাজ করেছে।

এদিন নারায়ণগড় ব্লকের নকুড়সেনী বিবেকানন্দ বিদ্যাভবন স্কুল চত্বরের আবর্জনার স্তুপে কিছু কাগজ পুড়তে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। কাছে গিয়ে তাঁরা দেখেন, সেখানে ব্যালট পেপার পুড়ছে। আগুন নিভিয়ে সেখান থেকে প্রচুর ব্যালট পেপার উদ্ধার করেন তাঁরা। উদ্ধার করেন একটি ভোট দেওয়ার সিল। ব্যালট পেপারগুলির প্রায় সবকটিতেই সিপিএমের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া ছিল। তবে তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়া কিছু ব্যালট পেপারও পাওয়া গিয়েছে।

বিজেপি ও সিপিএমের দাবি, অন্যান্য জায়গার মতো নারায়ণগড়েও বিপুল আসন দখল করত বিরোধীরা। সেকথা বুঝতে পেরে তৃণমূল বিরোধীদের ব্যালট সরিয়ে ফেলেছে। সেই ব্যালটগুলি নষ্ট করার চেষ্টা চলছিল।

তৃণমূলের দাবি, অভিযোগ ভিত্তিহীন। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সমর্থক ভোট আধিকারিকরা। বলে রাখি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনার দিন থেকে শুরু হয়েছে ব্যালট উদ্ধারের ধারা। মঙ্গলবার গণনার দিন ব্যালট উদ্ধার হয় হাওড়ার বালির গণনাকেন্দ্রের পিছন থেকে। এর পর জাঙ্গিপাড়া, পূর্বস্থলি, মানিকচক ও নারায়ণগড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিরোধীদের ভোট দেওয়া ব্যালটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বালিতে ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন বিডিও। ভোটগণনা কেন্দ্র থেকে ব্যালট ছিনতাই হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। বলে রাখি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ব্যালট ভোটগ্রহণের দিন থেকে ৬ মাস সংরক্ষণ করতে হবে উল্লেখ রয়েছে আইনে।