Howrah mall incident: হাওড়ার মলে ভয়াবহ ঘটনা, চলমান সিঁড়িতে হাত আটকে গেল শিশুর, ২ ঘণ্টা পর উদ্ধার

হাওড়া শপিং মলে দুর্ঘটনা। চলমান সিঁড়িতে হাত আটকে গেল এক শিশুর। প্রায় দু’ঘণ্টা হাত আটকে থাকার পর অবশেষে চলমান সিঁড়ি খুলে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার একটি মলে। ওই শিশুর নাম শরিফ করিম (৩)। শিশুটি হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা। মল কর্তৃপক্ষ সাহায্যের জন্য স্থানীয় পুলিশ এবং দমকল কর্মীরা ওই শিশুর হাত বের করে। এই ঘটনায় ওই শিশুর হাত ভেঙে গিয়েছে। ঘটনায় পুলিশ মল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির দায়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে।  

আরও পড়ুন: মাঝপথে বিকল লিফটের দরজা, ২৪ মিনিট ধরে ভিতরে আটকে থাকল ৩ শিশু! অভিযোগ পরিবারের

জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। সেইসময় শিশুটি একটি বেলুন নিয়ে খেলছিল। বেলুনটি চলমান সিঁড়িতে পড়ে গেলে শিশুটিও বেলুনের পিছনে দৌড়াতে শুরু করে। এরপর বেলুনটি ধরতে গিয়ে শিশু চলমান সিঁড়িতে পড়ে যায় এবং তার বাঁ হাত আটকে যায়। তখন শিশুটি চিৎকার করতে শুরু করলে সকলেই সেখানে ছুটে আসেন।

মলের নিরাপত্তারক্ষী এবং মল কর্তৃপক্ষ সেখানে ছুটে আসেন। মলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা সেখানে ছুটে এসে শিশুর হাত বের করার চেষ্টা করেন। সেজন্য সিঁড়ির একটি অংশ তাঁরা খুলে ফেলেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। রাত আটটার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল পৌঁছয়। অবশেষে রাত ৯টার দিকে শিশুটির হাত বের করতে সক্ষম হন কর্মীরা।

শিশুর কাকা শামিম রবি বলেন, ‘করিমের বাবা কলকাতার বাইরে রয়েছেন। খবর পেয়ে আমি একটি গ্যাস কাটার নিয়ে মলে যাই। ততক্ষণে শিবপুর থানার পুলিশ পৌঁছে দমকলকে খবর দেয়। মলের কর্মকর্তারাও কর্মীদের ডাকেন। আমি গ্যাস কাটার ব্যবহার করে সিঁড়ি কাটার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু আমায় বলা হয়েছিল যে এর ফলে সিঁড়ি পড়ে যাবে। করিমের হাত কেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল এবং সে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। দুই ঘণ্টা চেষ্টার পরে অবশেষে তাকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারের পর তাকে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার তিন ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে আরও দুই থেকে তিনটি অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের চিকিৎসক অনুপম গোলশ জানিয়েছন, ‘মেয়েটির বাঁ হাতের হাড় ভেঙে গিয়েছে। আমরা অস্ত্রোপচার করেছি। তবে  আরও তিন থেকে চারটি অস্ত্রোপচার করতে হবে।’ 

তবে মেয়েটির বাঁ-হাত সেরে যাবে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পুরোপুরি সেরে উঠতে তার ছয় থেকে সাত মাস সময় লাগতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। মলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আমরা পুলিশ এবং দমকলকে সবরকমভাবে সাহায্য করছি। কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তাও আমরা খতিয়ে দেখছি।’