Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধির উদ্যোগে জল ঢালতে তৈরি কংগ্রেস, মিটিংয়ে বড় সিদ্ধান্ত

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কি কংগ্রেস মানবে? নাকি এর বিরোধিতা করবে? কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব আপাতত মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই সব আইনকে এভাবে একছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টার বিরোধিতা তারা করবে। তবে সরকার খসড়া নিয়ে আসার পর থেকেই তারা এটা করবে। বলা ভালো কার্যত এই আইন তৈরির উদ্যোগে জল ঢালতে তৈরি হয়ে গেল কংগ্রেস।

এই মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। এক নেতৃত্বের কথায়, আমরা এটা সাফ জানিয়ে দিচ্ছি সব আইনকে এক ছাতার তলায় আনতে হবে এমন কোনও ব্যাপার নেই। নর্থ ইস্ট আর দক্ষিণ ভারত সকলের জন্য় একই আইন এটা হতে পারে না। মুসলিম আর হিন্দুর জন্য এক আইন এটা হতে পারে না। সব আইনের দৃষ্টিভঙ্গিটা দেখতে হবে। 

সব মিলিয়ে এটা পরিষ্কার যে এই আইনের খসড়া তৈরির হয়ে গেলেই আদা জল খেয়ে বিরোধিতার রাস্তায় নেমে পড়বে কংগ্রেস।

আসলে এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সমস্ত ধর্মীয় বিশ্বাস, জাতি নির্বিশেষে সকলের জন্য় একই আইনের কথা বলছে। মানে  বিয়ে, ডিভোর্স, ভরনপোষণ সকলের জন্য় থাকবে একই আইন। 

এদিকে ২০১৮ সালের আইন কমিশন জানিয়েছিল এই মুহূর্তে এই অভিন্ন দেওয়ানিবিধির প্রয়োজনও নেই, উপযোগিতাও নেই। এদিকে সূত্রের খবর, এই মাসের প্রথম দিকে আইন কমিশন ফের ইউসিসির উপর সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মতামত চেয়েছেন তারা। সেই সঙ্গেই ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকেও তাঁরা এনিয়ে মতামত চেয়েছেন। এদিকে উত্তরাখণ্ডের মতো কিছু রাজ্য আবার ইউসিসি প্রয়োগ করলে কী হতে পারে সেটা খতিয়ে দেখতে প্যানেলও তৈরি করে ফেলেছে। 

তবে গত ২৭ জুন এই ইউসিসির পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছিলেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বুথকর্মীদের মিটিংয়ে বলেন, এখন ইউসিসির বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। আপনারাই আমাকে বলুন, যদি কোনও বাড়িতে একেক এক জনের জন্য় এক এক রকম আইন থাকে তবে কি সেই বাড়ি চলবে? তবে এরকম ভাঁওতাবাজির সিস্টেম দিয়ে কীভাবে দেশ চলবে? আমাদের এটা মনে রাখতে হবে ভারতের সংবিধানও মানুষের সাধারণ অধিকারের কথা বলে।