হঠাৎ দিলীপ–সুকান্তকে জরুরি তলব নয়াদিল্লিতে, এমন ডাকের নেপথ্য কারণ কী?‌

বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বাংলা থেকে অনেকগুলি আসন দরকার। সেটা বঙ্গ সফরে এসে বুঝিয়ে দিয়েছেন খোদ অমিত শাহ। কিন্তু পাটনার পর বেঙ্গালুরুতে বিরোধী নেতা–নেত্রীরা একজোট হয়ে বৈঠকে বসেছেন। যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে গেরুয়া শিবিরের। তাই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারাও বৈঠকে বসতে চলেছেন। এমন আবহে আবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে হঠাৎ জরুরি তলব করা হয়েছে নয়াদিল্লিতে। আর তাই প্রশ্ন উঠছে, কেন এমন জরুরি তলব?‌

এদিকে দু’‌দিন আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের উপর পর্যালোচনা বৈঠক হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে বাক–বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দিলীপ–সুকান্ত। সেই তথ্য নয়াদিল্লিকে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তারপরই এমন তলব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁদের দু’‌জনকে সমঝে দেওয়া হবে কিনা সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এই দুই সাংসদকে পুরষ্কৃত করা হতে পারে। কারণ দিলীপ দীর্ঘদিন সাইডলাইনে। আবার শুধুমাত্র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ হয়ে বেশি বেড়ে খেলতে পারছেন না। আবার বাংলার মানুষকে বার্তা দিতেই এই দু’‌জনকে ডেকে পুরষ্কৃত করা হতে পারে।

কেমন পুরষ্কার পাবেন সুকান্ত–দিলীপ?‌ অন্যদিকে এখন বাংলায় চারজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আছে। জন বারলা, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর এবং সুভাষ সরকার। কিন্তু এই চারজন প্রতিমন্ত্রী দিয়ে বিশেষ সাফল্য আসেনি। বাবুল সুপ্রিয় বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। তিনি এখন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী। তার পর থেকে আর বাংলায় কোনও কেন্দ্রে পূর্ণমন্ত্রী নেই। তাই লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দিলীপ–সুকান্তকে পূর্ণমন্ত্রী করতে এমন জরুরি তলব বলে সূত্রের খবর। তাঁদের পূর্ণমন্ত্রী করলে বাংলার মানুষের কাছে বার্তা যাবে—এই রাজ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ ক্যানিংয়ে গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুতে আলোড়ন, রান্নাঘর থেকে মিলল গলাকাটা দেহ

কেন এমন ভাবনা কেন্দ্রের?‌ সুকান্ত–দিলীপকে পূর্ণমন্ত্রী করলে লাভ অনেকগুলি। এক, বাংলার মানুষের কাছে সদর্থক বার্তা দেওয়া। দুই, ভেঙে পড়া সংগঠন চাঙ্গা হয়ে যাবে। তিন, এই রাজ্যে আন্দোলনের মাত্রা বাড়বে। চার, ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মর্যাদা পেলে তাঁরা গোটা বাংলা চষে বেড়াতে পারবেন। তাতে ভোটবাক্স ভরবে। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যদি এই দু’‌জন জিততে না পারেন তাহলে বিজেপির মুখে চুনকালি পড়বে। সুকান্তকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীকে করা হতে পারে। তবে এই সম্ভাবনার পরেও এখন দেখার দিলীপ–সুকান্তের পুরষ্কার কেমন হয়। কয়েকদিনের মধ্যে তাঁদের নয়াদিল্লি যাত্রা রয়েছে।