All-party meeting: সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে সর্বদলীয় মিটিং, মণিপুর হিংসা নিয়ে বড় ঘোষণা সরকারের

বৃহস্পতিবার থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। তার আগে বুধবার সর্বদলীয় মিটিং ডেকেছিল সরকার। আসলে কোনও অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে এটাই চিরাচরিত প্রথা। মূলত সব দলকে একজায়গায় এনে নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের মতামত নেওয়ার জন্য় এই মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়। 

এনডিএ সরকার এই সর্বদলীয় মিটিং ডেকেছিল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, মূলত আগামী বাদল অধিবেশনে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হতে পারে তা নিয়েই এই মিটিংয়ে আলোচনা করা হয়। আসলে রীতি মেনে অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে এটা কার্যত গেট টুগেদার। শাসকদলের একাধিক মন্ত্রী এই মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এদিকে সরকার জানিয়ে দিয়েছে, আগামী বাদল অধিবেশনে তারা  মণিপুর ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য তৈরি। অল পার্টি মিটিংয়েই এনিয়ে জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।  

অন্যদিকে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় মঙ্গলবার এই ধরনের সর্বদলীয় অপর একটি মিটিং ডেকেছিলেন। কিন্তু কিন্তু একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা অন্য জায়গায় ব্যস্ত ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। সেকারণে এই মিটিং শেষ পর্যন্ত করা যায়নি। কারণ বিরোধী দলের নেতারা মূলত বেঙ্গালুরুর মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। আবার শাসক এনডিএর জোট শরিক নেতারা আবার দিল্লিতে ব্যস্ত ছিলেন। সব মিলিয়ে ধনখড়ের ডাকা সেই মিটিং শেষ পর্যন্ত আর হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে যেভাবে বিরোধী ও শাসক দলের নেতৃত্ব একে অপরের বিরুদ্ধে তাল ঠুকতে শুরু করেছে তাতে আগামী বাদল অধিবেশনে জোরদার শোরগোল শুরু হতে পারে সংসদে। 

মনে করা হচ্ছে আগামী বাদল অধিবেশনে মণিপুর সংকট, সেখানকার হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে শোরগোল ফেলতে পারে বিরোধীরা। কার্যত এবার জোট বেঁধে সরকারকে চেপে ধরার রাস্তায় নামছেন বিরোধীরা। তার প্রস্তুতিও হয়েছে বেঙ্গালুরুর মিটিংয়ে। অন্যদিকে দিল্লিতে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়েও এবার বাদল অধিবেশনে কথা উঠতে পারে। সেই সঙ্গে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে বিরোধীদের টাইট দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই প্রসঙ্গও উঠতে পারে বাদল অধিবেশনে। 

এদিকে ইতিমধ্য়েই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলি এনডিএর বিরুদ্ধে সলতে পাকাতে শুরু করেছে। জন্ম হয়েছে I.N.D.I.A’র। মনে করা হচ্ছে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের একতাবদ্ধ রূপকে দেখাতে বিরোধী জোটের অধীনে থাকা দলগুলি একেবারে সংঘবদ্ধভাবে পার্লামেন্টে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে। তবে তাতে কাজের কাজ কতটা হবে সেটা আগামী দিনেই জানা যাবে।