Manipur women paraded naked video: মণিপুরি মহিলাদের ‘নগ্ন প্যারেডের’ ভিডিয়ো সরাও, টুইটারকে নির্দেশ কেন্দ্রের

গতকালই দেশজুড়ে ঝড় উঠেছে মণিপুরের নগ্ন মহিলাদের ভিডিয়ো ইস্যুতে। এদিকে আজ আবার সংসদের বাদল অধিবেশন। সকাল থেকেই মণিপুর ইস্যুতে পরপর মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করছেন বিরোধী সাংসদরা। এই আবহে এবার টুইটার এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে সেই ভিডিয়ো সরাতে আদেশ জারি করেছে কেন্দ্র। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই এই কথা জানিয়েছে। এই নিয়ে সরকারের বক্তব্য, বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন। তাই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে ভারতীয় আইন মেনে চলতে হবে।

জানা গিয়েছে, ভাইরাল ভিডিয়োর ঘটনাটি ঘটে ইম্ফল থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরে কাংপোকপি জেলায়। পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, সেই ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলাদের পরিবারের দুই সদস্যকেও খুন করা হয়েছিল। এফআইআরে বলা হয়েছে, ৪ মে এক কুকি পরিবারের ৫ সদস্য আতঙ্কে বনে লুকিয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। কিন্তু পুলিশের হাত থেকে তাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ৫৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়। তারপর তিনজন নারীকে নগ্ন করিয়ে হাঁটানো হয়। ২১ বছর বয়সি এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তিন মহিলা কোনওরকমে পালিয়ে যান। ২১ জুন অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশে।

মণিপুর কেন জ্বলছে? কেন হিংসা হচ্ছে সেই রাজ্যে? উল্লেখ্য, মণিপুরের জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ হল মৈতৈ। তবে সেই রাজ্যের মাত্র ১০ শতাংশ এলাকায় তাদের বাস। মূলত ইম্ফল উপত্যকাতেই মৈতৈরা থাকে। এদিকে সম্প্রতি মৈতৈরা দাবি তোলে যে তাদেরও তপশিলি উপজাতিভুক্ত করতে হবে। এই নিয়ে মামলা হয় আদালতে। এদিকে মৈতৈদের এই দাবির বিরোধিতায় রাস্তায় নামে কুকি জনজাতির ছাত্র সংগঠন। তাদের দাবি, রাজ্যের সংখ্যাগুরুরা যদি সংরক্ষণের আওতায় চলে আসে, তাহলে এই ধরনের সংরক্ষণের কোনও অর্থ নেই। এই আবহে গত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।