অভিযোগ পেয়েছি, তবে প্রমাণ পাইনি, পাঁচলায় মহিলাকে অত্যাচার নিয়ে বললেন DG পুলিশ

হাওড়ার পাঁচলায় বিজেপির মহিলা কর্মীকে ভোটগ্রহণের বুথ থেকে বার করে বিবস্ত্র করে অত্যাচারের ঘটনায় মুখ খুলল পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনার কথা তুলে ধরে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। যদিও পুলিশের পালটা দাবি, এই ঘটনার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এদিন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে ১৩ জুলাই হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ জেলায় বিজেপির তরফে ই-মেইলে একটা অভিযোগ করা হয়। সেই ইমেইলে এক ভদ্রমহিলা অভিযোগ করেছেন, ৮ জুলাই বেলা ১১টার সময় ভোটগ্রহণ চলাকালীন একটা বুথ থেকে ওনাকে জোর জবরদোস্তি বার করা হয়েছে। তার পর ওনার সম্মানহানি, কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে লেখা আছে’।

ডিজির দাবি, ‘সঙ্গে সঙ্গে হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার থানায় অভিযোগটা পাঠিয়ে দেন এবং প্রাথমিক তদন্ত করে FIR দায়ের করতে বলেন। ১৪ জুলাই এই ঘটনায় FIR দায়ের করে পুলিশ। FIR দায়ের করেই তদন্তে নেমে পড়ে পুলিশ। তদন্তে এখনো পর্যন্ত যা উঠে এসেছে তা হল, ওই ঘটনার কোনও তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না’।

পুলিশের যুক্তি, ‘ভোটগ্রহণের দিন প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত ছিল। এছাড়াও প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন ছিলেন। ভোটদানের হারও খুব বেশি। তার মানে চারদিকে মানুষও ছিল। কিন্তু কেউ বলেনি যে তারা এরকম কোনও ঘটনা শুনেছে। ঘটনার পর বিরোধী দলনেতাও সেখানে গিয়েছেন। একটি পর্যবেক্ষক দলও গিয়েছে। তারাও কেউ এই ধরণের কোনও অভিযোগ করেনি। তার পরেও আক্রান্ত মহিলা ও তাঁর স্বামীকে আমরা বারবার লিখিত ভাবে আহ্বান জানিয়েছি যে আপনারা আদালতে গিয়ে ১৬৪ ধারায় গোপন জবানবন্দি দিন। কিন্তু ওরা আজ পর্যন্ত গোপন জবানবন্দি দিতে আসেনি। আমরা বারবার বলেছি, আপনার যে আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার চিকিৎসার নথি দিন। অন্তত কোথায় চিকিৎসা করিয়েছেন তা জানান। সেই নথিও এখনও আমাদের কাছে পৌঁছয়নি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে এরকম অভিযোগ এলে আমরা পদক্ষেপ করবই করব’।

ডিজির প্রশ্ন, ‘আজ সবার হাতে মোবাইল ফোন থাকে। কিন্তু কেউ এরকম ঘটনা দেখতে বা শুনতে পায়নি। এখনো তদন্ত জারি আছে। ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে তাদের বক্তব্য আমি জানালাম’।

মনোজ মালব্যর আশ্বাস, ‘সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও এই ঘটনার সত্যতা খোঁজার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বুথের সিসিটিভি ফুটেজ বিডিওর কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটা এখনো এসে পৌঁছয়নি। এলে আমরা সেটাও খতিয়ে দেখব’।