Paris-Bengaluru flight: মাঝ আকাশে বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা যাত্রীর, তারপর যা হল…

এয়ার ফ্রান্স ১৯৪ এয়ারক্রাফট। প্যারিস থেকে বেঙ্গালুরুর দিকে আসছিল এই বিমান। আর মাঝআকাশে সেই বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করেন এক যাত্রী। এরপরই বিমানে  হইচই পড়ে যায়। বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই যাত্রীকে আটক করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই ব্যক্তির মানসিক সমস্যা রয়েছে। 

এদিকে এই ঘটনায় বড় বিপদ হয়ে যেতে পারত। ওই ব্যক্তি আসলে অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। নাম বেঙ্কট মোহিত আচারি। বয়স ২৯ বছর। একাই তিনি সফর করছিলেন। এদিকে প্যারিস থেকে বিমানটি আসছিল বেঙ্গালুরুর দিকে। গত ১৫ জুলাইয়ের ঘটনা। ওই যাত্রী বিমানের আপৎকালীন দরজার লিভার টেনে খুলে ফেলার চেষ্টা করেন। এদিকে বিমানটি তখনও বেঙ্গালুরু আসতে প্রায় চারঘণ্টা দেরি। যাত্রী এই চেষ্টা করতেই ছুটে আসেন বিমান কর্মীরা। রাত আটটা নাগাদ তিনি এই দরজা খোলার চেষ্টা করেছিলেন। 

এদিকে বেঙ্গালুরুতে নামার পরেই পুলিশ তাকে জেরা করে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে ওই ব্যক্তির মানসিক  সমস্যা রয়েছে। সম্ভবত সেকারণেই তিনি দরজা খোলার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তিনি মদ খেয়েছিলেন এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে সমস্ত যাত্রীরাই নিরাপদে রয়েছেন। ওই যাত্রীকে আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

তবে এভাবে মাঝআকাশে বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টাকে ঘিরে মামলা শুরু হয়েছে। ওই ব্যক্তির অন্য কোনও মতলব ছিল কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

তবে এর আগেও এই ধরনের ঘটনা হয়েছে। সম্প্রতি এক বিমানযাত্রী আর প্রতীক ১৮ এফ সিটে বসেছিলেন। তিনি কার্যত মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ। তিনি আপৎকালীন দরজা খোলার চেষ্টা করেছিলেন। এরপরই তিনি অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করা শুরু করেন। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে পৌঁছনর পরে তাকে সিআইএসেফের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এরপর বিমানবন্দরের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে ব্রেথ অ্যানালাইজার মেশিনের মাধ্যমে তার পরীক্ষা করা হয়। তখন বোঝা যায় তিনি মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন।

তার বাড়ি কানপুরে। তিনি একটি ই কমার্স ফার্মের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসাবে কাজ করেন। এয়ারপোর্ট পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়েছিল।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এমার্জেন্সি ডোরের ফ্ল্যাপ খুলে দেওয়া হলে সেটা বিমানের সুরক্ষায় কোনও প্রভাব ফেলে না। কারণ বিমান চালু অবস্থায় সমস্ত দরজা প্রেসার লকড করা থাকে। মাঝ আকাশে বিমানের কোনও দরজা খুলে যাবে এটা কোনওদিন হতে পারে না। ল্যান্ডিং না করা পর্যন্ত এমার্জেন্সি ডোরও খোলা সম্ভব নয়।