কোটিপতি বিধায়কের শীর্ষে কংগ্রেসের শিবকুমার, প্রথম দশে কোন দলের সবচেয়ে বেশি

দেশের ধনী ব্যবসায়ীদের তালিকা নিয়ে আলোচনা প্রায়ই লেগে থাকে। কার শেয়ার কত পড়ল, কারই বা উত্থান ঘটল দ্রুত গতিতে, এসব নিয়ে চর্চা অব্যাহত রাখে নেট দুনিয়ায়। কিন্তু, এবার প্রকাশ্য এল দেশের জনপ্রতিনিধিদের ধনসম্পদের হার। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) এবং ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ (NEW) এর একটি রিপোর্ট অনুসারে ধন সম্পদের বিচারে একটি ক্রমতালিকা প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। আর তার পরেই কোন বিধায়ক কত বড় লোক, আর কার সম্পত্তি নাম মাত্র, সেসব নিয়ে চর্চা চলছে।

সমীক্ষায় প্রকাশিত, কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার দেশের সবচেয়ে ধনী বিধায়ক। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ও কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ডি কে শিবকুমার ১৪১৩ কোটি টাকার সম্পদের মালিক। এই কোটিপতি কংগ্রেসী নেতাই দেশের সবচেয়ে ধনী বিধায়ক। নির্বাচন কমিশনে তাঁর ২০২৩ সালের হলফনামায় শিবকুমার জানিয়েছিলেন, তাঁর মোট সম্পত্তির মধ্যে স্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২৭৩ কোটি টাকা এবং অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ১১৪০ কোটি টাকা।

শুধু কি শিবকুমার! দেশের বিচারেও সব থেকে ধনী ২০ বিধায়কের মধ্যে ১২ জনই এই রাজ্যের। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের তথ্য অনুসারে দেখা যাচ্ছে, ১৪ শতাংশ কর্ণাটক বিধায়ক বিলিয়নেয়ার, প্রত্যেকের সম্পত্তির মূল্য ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি। দক্ষিণী এই রাজ্যের বিধায়কদের গড় সম্পদের মূল্য ৬৪.৩ কোটি টাকার কাছাকাছি।

তথ্য বলছে, দেশের সবথেকে ধনী দশ বিধায়কের মধ্যে চারজন কংগ্রেসের, তিনজন বিজেপি’র। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই দুই দলের মধ্যে কথার লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের বিধায়ক রিজওয়ান আরশাদ জানিয়েছেন, শিবকুমার ব্যবসা করেন। তাই তাঁর যদি বিপুল সম্পদ থাকেও, তাতে দোষের কিছু নেই। রিজওয়ান আঙুল তুলেছেন প্রতিপক্ষবিজেপি বিধায়কদের সম্পদের দিকে। খনি কেলেঙ্কারি নিয়ে বিজেপিকদ আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, বিজেপিও হাজর পালটা বক্তব্য নিয়ে। তাদের বক্তব্য, কংগ্রেস আসলে ধনীদের দল, ধনীদের ভালোবাসে। ধনী বিধায়কদের পাশাপাশি গরীব বিধায়কদের তালিকাও প্রকাশ্যে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের ইন্দাস বিধানসভায় বিধায়ক নির্মল কুমার ধারা ১৭০০ টাকায় সম্পদ নিয়ে এই তালিকায় সবচেয়ে দরিদ্র বিধায়ক। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক দেশের সবচেয়ে ধনী দশজন বিধায়কের তালিকা।

১) ডি কে শিবকুমার (INC) – কনাকাপুরা, কর্ণাটক ২০২৩ – মোট সম্পদ: ১৪১৩ কোটি টাকা

২) কে এইচ পুট্টস্বামী গৌড়া (IND)- গৌরীবিদানুর, কর্ণাটক ২০২৩ – মোট সম্পদ: ১২৬৭ কোটি টাকা

৩) প্রিয়কৃষ্ণ (INC) – গোবিন্দরাজনগর, কর্ণাটক ২০২৩ – মোট সম্পদ: ১২৫৬ কোটি টাকা

৪) এন. চন্দ্রবাবু নাইডু (টিডিপি) – কুপ্পাম, অন্ধ্রপ্রদেশ ২০১৯ – মোট সম্পদ: ৬৬৮ কোটি টাকা

৫) জয়ন্তীভাই সোমাভাই প্যাটেল (বিজেপি) – মানসা, গুজরাট ২০২২ – মোট সম্পদ: ৬৬১ কোটি টাকা

৬) সুরেশা বি এস (INC) – হেব্বাল, কর্ণাটক ২০২৩ – মোট সম্পদ: ৬৪৮ কোটি টাকা

৭) ওয়াই সি জগন মোহন রেড্ডি (YSRCP) – পুলিভেন্ডলা, অন্ধ্র প্রদেশ ২০১৯ – মোট সম্পদ: ৫১০ কোটি টাকা

৮) পরাগ শাহ (বিজেপি) – ঘাটকোপার পূর্ব, মহারাষ্ট্র ২০১৯ – মোট সম্পদ: ৫০০ কোটি টাকা

৯) টি.এস. বাবা (INC) – অম্বিকাপুর, ছত্তিশগড় ২০১৮ – মোট সম্পদ: ৫০০ কোটি টাকা

১০) মঙ্গলপ্রভাত লোধা (বিজেপি) – মালাবার হিল, মহারাষ্ট্র ২০১৯ – মোট সম্পদ: ৪৪১ কোটি টাকা