ভোট মিটে গেলেও স্কুলে সেন্ট্রাল ফোর্স, সবুজ সাথী সাইকেল ফেলে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের

সাধারণত ভোটে বুথ হিসেবে স্কুল, মাদ্রাসাগুলিকেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচনের জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১০ দিনেরও বেশি হল পঞ্চায়েত ভোট-পর্ব মিটে গিয়েছে। তারপরেও কোচবিহারের শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে এখনও রয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যার ফলে ওই স্কুলে পঠন-পাঠন এখনও শুরু করা সম্ভবই হয়নি। তাই অবিলম্বে স্কুল চালু করে পঠন-পাঠন শুরু করার দাবি জানাল স্কুলের পড়ুয়ারা। এই দাবিতে রাস্তায় সবুজ সাথী সাইকেল ফেলে শনিবার অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় সাইকেল ফেলে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ করে। পড়ুয়াদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানান অভিভাবকরা।

আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও ১ মাস বাহিনী রাখা যাবে কি না, কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল হাইকোর্ট

এদিন পথ অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পড়ুয়ারা সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেলের পাশাপাশি কাঠের গুঁড়ি দিয়ে পথ অবরোধ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বক্সিরহাট থানার পুলিশ। তবে পড়ুয়াদের পথ অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশ আবেদন জানালেও নিজেদের দাবিতে অনড় থাকে পড়ুয়ারা। পথ অবরোধে সামিল হয় স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসের পড়ুয়ারা।

বিক্ষোভকারী দশম শ্রেণির ছাত্রী সাবিনা পারভিন বলেন, ‘ভোট কবে হয়ে গিয়েছে। গণনাও হয়ে গিয়েছে। তারপরেও আমাদের বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা রয়েছেন। এর ফলে বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন বন্ধ রয়েছে। আমাদের পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা চাই অবিলম্বে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন চালু হোক।’ নবম শ্রেণির ছাত্র তন্ময় কার্যীও স্কুল খোলার দাবি জানায়। তার কথায়, ‘আমরা চাই আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলুক। তবেই আমরা পথ অবরোধ তুলে নেব।’ 

পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে এক অভিভাবক বলেন, ‘পড়ুয়াদের পথ অবরোধের ফলে আমরা প্রচণ্ড রোদের মধ্যে রাস্তায় আটকে পড়েছি ঠিকই। তবে এলাকার পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি তাদের আন্দোলনকে সমর্থন করছি। কারণ আমরা বহু কষ্ট করে পড়ুয়াদের বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য পাঠাই। অথচ স্কুলের পঠন-পাঠন বন্ধ রয়েছে। তাই তারা কোনও ভুল কিছু করেনি।’ 

পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে শেষমেষ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপম রায় কোঙার স্কুল খোলার আশ্বাস দিলে পড়ুয়ারা অবরোধ তুলে নেয়। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘স্কুল চালুর বিষয়ে তুফানগঞ্জ ২ নং ব্লকের বিডিওর আমি কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন আগামী ২৬ জুলাই কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা চলে যাবেন স্কুল থেকে চলে যাবেন।’ প্রধান শিক্ষকের আশ্বাস আগামী ২৭ জুলাই ফের বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন চালু হবে। এরপরেই অবরোধ তুলে নেয় পড়ুয়ারা।