Manipur incident: ‘নিজের লালসা পূরণে নয়, মেইতেইদের স্বার্থে করেছে’, দাবি মণিপুরের ‘বর্বর’-র মায়ের

মণিপুরের বর্বরতায় যে ছেলে ‘যুক্ত’ ছিল, তা এক সপ্তাহ আগেই জেনে গিয়েছিলেন। এমনই দাবি করলেন মূল অভিযুক্তের মা। যে যুবককে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহিলা দাবি করেছেন যে নিজের ‘কুকীর্তির’ বিষয়ে আগেই স্বীকার করে নিয়েছিল ছেলে। তবে সেইসঙ্গে ছেলে এটাও জানিয়েছিল যে নিজের লালসা মেটাতে ওই বর্বর কাজ করেনি। বরং নিজেদের মেইতেই সম্প্রদায়ের স্বার্থেই ছেলে নাকি কুকুি মহিলাদের নগ্ন করে গ্রামে ঘোরানো এবং চরম পৈশাচিক কাজে সামিল হয়েছিল বলে দাবি করেছেন মহিলা। আর তাঁর বউমা দাবি করেছেন যে মেইতেইদের রক্ষার জন্য গত ৪ মে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল স্বামী। স্বামী যে চরম পৈশাচিক কাজ করেছে, সে বিষয়ে জানেন না। কিন্তু সেই বর্বরতায় স্বামী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন স্ত্রী। যিনি কোলে ছোট সন্তানকে নিয়ে কেঁদেই চলেছেন। তিন সন্তানকে নিয়ে কীভাবে চালাবেন, তার কূলকিনারা পাচ্ছেন না।

আরও পড়ুন: Manipur viral video: নারী নির্যাতনে এগিয়ে কোন রাজ্য? তথ্যের লড়াই জারি, এবার বিজেপির পাল্টা তৃণমূল

ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূল অভিযুক্তের মা বলেছেন যে ‘সপ্তাহখানেক আগে ওই অপরাধে আমার ছেলে যুক্ত থাকার গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর ওকে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম। ও আমার কাছে স্বীকার করে নিয়েছিল যে ওই ঘটনায় ও জড়িত ছিল। তবে ও বলেছিল যে ব্যক্তিগত কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে ওরকম কাজ করেনি। ও শুধু উন্মত্ত জনতার অংশ হিসেবে ওরকম কাজ করেছিল এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের স্বার্থে করেছিল।’ যে ঘটনায় মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Manipur Gangrape & Murder: প্রকাশ্যে আরও এক মণিপুরি বিভীষিকা, ২ বোনকে গণধর্ষণ করে খুন ইম্ফলে, ধৃত ০!

আপাতত মূল অভিযুক্তের মা, বাবা, স্ত্রী ও তিন সন্তান নিজেদের বাড়িতে নেই। কারণ ৪ মে’র সেই পৈশাচিক ঘটনায় ‘জড়িত’ থাকার খবর দাবানলের মতো ছড়ানোর পর মূল অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার আগে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে দোকান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩২ বছরের ওই অভিযুক্ত পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিল। চাকা সারাইয়ের দোকান চালিয়ে সংসার চালাত মেইতেই সম্প্রদায়ের যুবক।

সেই নিজেদের সম্প্রদায়ের ছেলেই যে এরকম পৈশাচিক কাজে ‘জড়িত’ থাকতে পারে, তা ভাবতে পারছেন না মেইতেই সম্প্রদায়ের অধিকাংশ মহিলা। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় একটি নাগরিক সংগঠনের এক মহিলা সদস্য জানিয়েছেন যে কুকি মহিলাদের সঙ্গে যা হয়েছে, সেটার তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে। এটা শুধু কুকি বা মেইতেইদের বিষয় নয়, এটা মহিলাদের নয়। যেন মনে হচ্ছে এরকম বর্বরতার মুখে পড়তে হয়েছে নিজেদেরও। মনে হচ্ছে নিজেদের ওরকম পৈশাচিকতার শিকার হতে হয়েছে। মণিপুর বা বিশ্বের কোনও প্রান্তে এরকম ঘটনা একেবারেই বরদাস্ত করা যায় না।

যদিও ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূল অভিযুক্তের প্রতিবেশী কয়েকজন যুবক আবার তার হয়ে গলা ফাটিয়েছে। তেমনই একজন দাবি করে যে উন্মত্ত জনতার রোষ থেকে কুকি মহিলাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছিল তার পড়শি। একজন আবার বলেছে, ‘এক মহিলাকে বলতে শুনেছিল যে ভাই, আমায় বাঁচাও। তাই তার কাছে গিয়েছিল।’