টানা ৪ বছর ধরে বৌমাকে ধর্ষণ করল শ্বশুর, থানায় গৃহবধূর স্বামী

বৌমাকে টানা ৪ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শ্বশুরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাদিপুর গ্রামে। অভিযোগ, টানা ৪ বছর ধরে খুনের হুমকি দিয়ে বৌমাকে ধর্ষণ করেছেন শশুর। বিষয়টি জানাজানি হতেই বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার স্বামী। এই অভিযোগে গৃহবধুর শ্বশুরকে আটক করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। 

আরও পড়ুন: নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ২ দিন আটকে রেখে লাগাতার গণধর্ষণ, কোচবিহারে গ্রেফতার ৪

নির্যাতিতার অভিযোগ, সাড়ে ৪ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের প্রথমদিকে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু বিয়ের এক মাস পরেই শ্বশুরের আসল রূপ প্রকাশ্যে আসে নির্যাতিতার কাছে। তাঁকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করতে শুরু করে শ্বশুর। বাধা দিতে গেলেই তাঁর স্বামীকে খুন করার হুমকি দিত। ফলে ভয়ে গৃহবধূ কাউকে কিছু জানাতে পারেননি, বাধা দিতে পারেননি। এভাবে টানা ৪ বছর ধরে তার শ্বশুর তাঁকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। এমনকী নির্যাতিতা শাশুড়ির কাছে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও তাতে কর্ণপাত করেননি। তা ছাড়া তাঁর দুই সন্তানকেউ মেরে ফেলার হুমকি দিত শশুর। বাধ্য হয়েই মুখ বুজে শ্বশুরের সমস্ত অত্যাচার সহ্য করে গিয়েছেন নির্যাতিতা।

তবে শেষমেষ সাহস জুগিয়ে নির্যাতিতা তাঁর স্বামীর কাছে শ্বশুরের বিষয়ে অভিযোগ করেন। তাঁকে সমস্ত কথা খুলে বলেন। এরপরেই নির্যাতিতার স্বামী তাঁকে নিয়ে পঞ্চায়েত এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। এই ঘটনায় বাবার চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁর স্বামী। এই ঘটনায় দম্পতির পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারাও অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত সদস্য কামালউদ্দিন মণ্ডল তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, অভিযোগ পাওয়ার পরেই গৃহবধূর শ্বশুরকে আটক করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। তবে নির্যাতিতার অভিযোগ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন ৪ বছর ধরে তিনি ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। তাহলে কেন আগে পুলিশের কাছে তিনি যাননি? এখন হঠাৎ করে ৪ বছর পর কেন অভিযোগ জানালেন? তা জানার জন্য নির্যাতিতা এবং স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং গ্রামবাসীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।