দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ১৯৪১ সালের গেজেট তলব

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের পৈত্রিক ১৪ ডেসিমেল সম্পত্তি সংক্রান্ত ১৯৪১ সালের গেজেট তলব করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুলও জারি করেছেন।

এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৪ জুলাই) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এম এম জি সারোয়ার পায়েল।

জানা গেছে, সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের পৈত্রিক ১৪ ডেসিমেল সম্পত্তি ১৯৪১ সালে অধিগ্রহণ করে (টাঙ্গাইলে) সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে) রাস্তা নির্মাণ  করে। সেই সময় সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ) যে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সেটি তাদের পরিবার পায়নি দাবি করে রিটটি দায়ের করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দাবি, ব্রিটিশ শাসনামলে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ) জমি অধিগ্রহণ করে। কিন্তু ব্রিটিশ শাসনামলের পর পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ অতিক্রম করছে। ফলে অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়েছে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার থেকে জানা গেছে, এ সংক্রান্ত ১৯৪১ সালের ‘ক্যালকাটা গেজেট’ জাতীয় আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে।

রিটকারীর আইনজীবী বলেন, সম্পত্তি অধিগ্রহণ হয়ে থাকলেও রিটকারীর পরিবারের কেউ ক্ষতিপূরণ পাননি। তখন রিটকারীর বাবা বিচারপতি দেবেশ ভট্টাচার্য, তার আগে তার দাদা নরেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য কেউই ক্ষতিপূরণ নেননি। এখন গেজেটটি আদালতে উপস্থাপনের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বাবা দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য ছিলেন মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী ও বিচারপতি। তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের মা চিত্রা ভট্টাচার্য জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে সংসদ সদস্য ছিলেন।