Loan for Hawkers: হকারদের পুজোর উপহার সরকারের, পেতে পারেন ৮০ হাজারের ঋণ

আর কয়েক মাস পরেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। এই পুজোকে ঘিরে সারা বছর ধরেই প্রতীক্ষায় থাকেন প্রচুর মানুষ। দুর্গাপুজো মানেই যে শুধু আনন্দ, উৎসব তাই নয়, এই পুজোতে প্রচুর সংখ্যক মানুষ বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। তেমনি হকাররাও এই পুজোকে কেন্দ্র করে সারা বছর অধীর আগ্রহে থাকেন। কারণ এই সময়টা বিক্রি বাটা কয়েকগুন বেড়ে যায়। তাই এবার পুজোয় হকারদের পাশে দাঁড়াতে বিশেষ প্রকল্প এনেছে রাজ্য সরকার। তার মাধ্যমে ঋণ নিতে পারবেন হকাররা।

আরও পড়ুন: অবৈধ হকার নিয়ে পদক্ষেপ না নিলে পুরবোর্ড ভেঙে দেব, হুঁশিয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের

সাধারণত দুর্গাপুজোর বাজারে বিক্রি অন্যান্য সময়ের থেকে বেশি হওয়ায় হকাররা বেশি পরিমাণে পাইকারি সামগ্রী কিনে থাকেন। কিন্তু, অনেকেই মূলধনের অভাবে ব্যবসা বাড়াতে পারেন না। তাদের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার ৩ দফায় হকারদের ৮০ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সমস্ত পুরসভার হকারায় এই সুযোগ পাবেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। 

কীভাবে ঋণ দেওয়া হবে?

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে হকারদের প্রথম দফায় ১০ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে। সেই টাকা শোধ করলে দ্বিতীয় দফায় ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে। এই ঋণ শোধের সময়সীমা এক বছর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হকাররা ঋণ শোধ করলে আরও ৫০ হাজার টাকা করে ঋণ পাওয়ার সুযোগ পাবেন হকাররা। সাধারণত বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই ঋণ পাবেন হকাররা। তবে বেসরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে যাতে হকাররা ঋণ পেতে পারেন সে বিষয়ে আলোচনা করছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণত ব্যাঙ্ক থেকে যে হারে সুর দেওয়া হয় সেই নির্ধারিত সুদের উপর থেকে ৭ শতাংশ ছাড় পাবেন হকাররা।

কীভাবে আবেদন করা যাবে?

এই ঋণ পেতে গেলে হকারদের নিজ নিজ পুরসভায় গিয়ে আবেদন করতে হবে। তবে কোনও হকার গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা হলেও তিনি যদি পুরসভার অধীনে হকারি করেন তাহলে তিনিও ঋণ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই আবেদন অনুমোদিত হলেই হকাররা ঋণ পাবেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত পুরসভা এলাকায় ৭৫ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে ৪৬ হাজারের বেশি আবেদন ইতিমধ্যেই অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার হকার ঋণ পেয়ে গিয়েছেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এরজন্য ৫২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকার ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে।

নবান্ন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে বর্ধমান পুরসভায়। এরপরেই রয়েছে বারাকপুরের একাধিক পুরসভা। এই প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখার জন্য প্রত্যেক পুরসভায় একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখতে পাবেন বলেই আশা প্রশাসনের।