TeT Scam: বিচারপতির নির্দেশ, রাতেই জেলে গিয়ে মানিককে জেরা, শিক্ষকদের পোস্টিংয়েও ভেলকি দেখাতেন তৃণমূল নেতা

প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে রাতেই জেরা করা হল মানিক ভট্টাচার্যকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাতেই সিবিআইয়ের চার আধিকারিক জেলে চলে যান। সিবিআইয়ের দুঁদে আধিকারিকরা জেলে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে পোস্টিং সংক্রান্ত বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেন বলে খবর। এসপি কল্যাণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে রাতেই টিম প্রেসিডেন্সি জেলে যায়। দুটি পৃথক মামলার তদন্তকারী আধিকারিক মলয় দাস, ওয়াসিম আক্রম সহ চারজন আধিকারিক জেলে গিয়ে মানিকের কাছে শিক্ষকদের পোস্টিং সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চান।

নিয়োগ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে বার বার নাম উঠে এসেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের। এবার শিক্ষকদের পোস্টিং নিয়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ের সময় বলা হত সংশ্লিষ্ট জেলায় শূন্যপদ নেই। আবার কিছুদিনের মধ্যেই সেই জেলায় তৈরি হয়ে যেত শূন্যপদ। সবটাই আসলে মানিকের ভেলকি। এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

 

এর আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এটা একটা নতুন কায়দার দুর্নীতি। এই দুর্নীতিতেও টাকার লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। আর গোটা দুর্নীতিটাই মানিক ভট্টাচার্যের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে মনে হচ্ছে। তাই সিবিআইকে এই দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে। অবিলম্বে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করবেন। সেই মতোই রাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে চলে যান সিবিআই আধিকারিকরা।

বিচারপতি জানিয়েছিলেন, যে ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এমনকী ছকে ফেলে এই দুর্নীতি করা হত বলে মনে করছে আদালত।

এদিকে এই মামলায় কোনও আর্থিক তছরূপ হয়েছে কি না সেটা দেখার জন্য ইডিকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এমনকী জেল সুপারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। আর সহযোগিতা করা না হলে আদালত কড়া ব্য়বস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছিল। সব মিলিয়ে এবার আর শুধু শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি নয়, পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রেও ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। সুকান্ত প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি এনিয়ে মামলা করেছিলেন। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারিপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মঙ্গলবারই নির্দেশ দিয়েছিলেন রাতেই জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করতে হবে। পাশাপাশি সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তবে বিচারপতির নির্দেশ পেয়ে রাতেই জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা।