Hilsa supply: বড় ইলিশের জোগান কম,ছোট ও মাঝারিতেই রসনা তৃপ্তি করছে বাঙালি, দামও সাধ্যের মধ্যে

দিঘা সহ রাজ্যের বিভিন্ন উপকূল এলাকায় মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছে ইলিশ। যারফলে এখন কলকাতা এবং শহরতলির বাজারে অনায়াসেই মিলছে ইলিশ মাছ। বাজারে ছোট থেকে বড় প্রায় সব দোকানেই ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে রসনাতৃপ্তি হচ্ছে ভোজন রসিক বাঙালির। সাধারণত এখন বাজারে যেসব ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলি ছোট থেকে মাঝারি আকারের। বড় ইলিশ খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দামও সাধারণ মধ্যবিত্তের আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে। মানুষজনও দেদার ইলিশ মাছ কিনছেন। 

আরও পড়ুন: কলকাতার বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে ইলিশ, দামে পতন হওয়ায় খুশি আমজনতা

ইলিশ ধরার ওপর সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা ওঠার পরেই ইলিশ মাছ ধরছেন মৎস্যজীবীরা। চলতি মাসের ১৪ তারিখে প্রায় ৪টন ইলিশ উঠেছিল দিঘায়। এরপর ২০ জুলাই এবং গত মঙ্গলবার প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ উঠেছে মৎস্যজীবীদের জালে। যার ফলে ইলিশের দাম অনেকটাই কমে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার বাজারে ইলিশ পাওয়া গিয়েছে ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে। ৩৫০ গ্রামের ইলিশ মাছ এদিন বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি করে। অন্যদিকে, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বড় বাজারগুলিতে বড় আকারের ইলিশ মাছ বিক্রি হলেও ছোট বাজারগুলিতে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বেশি বিক্রি হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, শুধু দিঘা নয়, কাকদ্বীপ, বকখালি, নামখানা, ডায়মন্ড হারবারেও প্রচুর ইলিশ উঠছে। এই অবস্থায় ইলিশের চালান নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, কলকাতায় যে সমস্ত ইলিশ মাছ আসছে সেগুলি মূলত কাকদ্বীপ, বকখালি, নামখানা এবং ডায়মন্ড হারবার থেকে। দিঘা থেকে ইলিশ মাছ আসলেও তা চাহিদার তুলনায় কম। পাশাপাশি রাজ্যে ওড়িশা থেকেও ইলিশ মাছ আসছে। এই অবস্থায় দাম অনেকটাই কমে গিয়েছে। 

তবে বাজারে বড় ইলিশ মাছের চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত যোগান নেই। মূলত ছোট থেকে মাঝারি আকারের ইলিশ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ক্রেতারা ইলিশ মাছের পাশাপাশি ডিম নিতে চাইছেন। তবে ইলিশের স্বাদ সেই তুলনায় অনেক বেশি ভালো। ইলিশ যত বড় হয় দামও বেশি হয়। দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকা দিয়ে মাছ কেনা সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই ক্রেতারা মাঝারি এবং ছোট আকারের ইলিশ বেশি কিনছেন। সেগুলি বেশি বিক্রি হচ্ছে।উল্লেখ্য, ইলিশ ধরার ওপর সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছিল গত ১৫ জুন। এরপর থেকে বিগত এক মাসে বিভিন্ন জায়গায় ইলিশ ধরা পড়েছে মৎস্যদজীবীদের জালে। এই আবহে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পরেই দিঘায় কয়েক টন ইলিশ ধরা পড়েছিল। যত দিন যাচ্ছে, দিনকে দিন আরও বেশি ইলিশ জালে জড়াচ্ছে। ফলে দাম আরও কমবে বলে আশা।