Murder in Assam: বৌ এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে খুন করে সন্তানকে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করল যুবক

স্ত্রী এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে খুন করে ৯ মাসের সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের গোলাঘাট জেলায়। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে অসমে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে অপরাধীর কড়া শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গোলাঘাট জেলার গোলাঘাট শহরের হিন্দি স্কুল রোডে। অভিযুক্তের নাম নজিবুর রহমান বোরা। নিহতদের মধ্যে তার স্ত্রীর নাম হল সংঘমিত্রা ঘোষ, তার শ্বশুর সঞ্জীব ঘোষ এবং শাশুড়ি জুনু ঘোষ। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: বার বার একই কথা! রাগে স্বামীকে পিটিয়েই খুন করলেন স্ত্রী, কেন জানেন?

জানা গিয়েছে, বাড়ির অমতে নজিবুরের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সংঘমিত্রা। কিন্তু, তারপর থেকেই তাদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকতো। স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগে এর আগে নজিবুরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বেশ কয়েকদিন জেলেও ছিল নজিবুর। কিন্তু জেল থেকে মুক্তি পেতেই শ্বশুর বাড়িতে যায় নজিবুর। এরপরে সেখানে তাদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তখনই শ্বশুর, শাশুড়ি এবং স্ত্রীকে সে খুন করে বলে অভিযোগ। তাঁদের খুন করার পর ৯ মাসের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করে নজিবুর। জানা গিয়েছে সংঘমিত্রার ছোট বোন কাজিরাঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। পরিবারের সদস্যদের খুনের সময় তিনি ভিডিয়ো কলে ছিলেন। তাঁর চোখের সামনেই এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। তিনিই এই ঘটনায় একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী।

পুলিশ জানিয়েছে, শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পর প্রথমে স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে নজিবুরের। সে স্ত্রীকে মারধর করলে মেয়েকে বাঁচাতে ছুটে যান তাঁর বাবা-মা। তখনই তিনজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুন করে নজিবুর। এদিকে, খুনের ঘটনার পরেই সংঘমিত্রার বোন তাঁর মাসিকে বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তবে, তারা পৌঁছানোর আগেই তিন জনকে খুন করে সেখান থেকে পালিয়ে যায় নজিবুর। ৯ মাসের ছেলেকেও সঙ্গে নিয়ে যায় সে। পরে গোলাঘাট পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অপরাধীকে ধরতে গোলাঘাট জুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে তারা। পরে, থানায় আত্মসমর্পণ করার পর খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির খুনসহ একাধিক ধারায় মামলার রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনায় তদন্ত করছে অসমের সিআইডি। ফরেনসিক দল ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করেছে।

ঘটনার পরেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও শোকাহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘নজিবুর রহমান হোক বা অন্য কোনো ব্যক্তি, আমাদের রাজ্যে অপরাধের কোনও জায়গা নেই। কোনও অপরাধীই বিচার থেকে রেহাই পাবে না।’অসম পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তদন্ত করা হবে।