Sudha Murthy Called ‘Casteist’: ‘যদি একই চামচ হয়…’, বাইরে খাওয়া নিয়ে সতর্ক সুধা মূর্তি, মিলল ‘ব্রাহ্মণ্যবাদী’ আখ্যা

বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে সুধা মূর্তি। দেশের বাইরে খাওয়াদাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে সম্প্রতি একটি শো-তে বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন সুধা মূর্তি। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। অনেক নেটিজেনই আবার এই নিয়ে সুধা মূর্তিকে আক্রমণও শানিয়েছেন। অনেকেই তাঁকে ‘বর্ণবাদী’ আখ্যা দিয়েছেন। সম্প্রতি, ‘খানে মে কৌন হ্যায়’-এর একটি পর্বে আমন্ত্রিত ছিলেন ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন। সেখানেই তিনি বলেন, বিদেশে গেলে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে খুব বাছ বিচার করে চলেন তিনি। তিনি বলেন, বিদেশে কাজ করার সময় তার সঙ্গে এক ব্যাগ খাবার ও রান্নার সামগ্রী থাকে। এগুলি নিয়েই দেশের বাইরে যান। তাঁর কথায়, তিনি নিরামিষাশী বলে ছোঁয়াছুঁয়ির ভয় পান।

সুধা মূর্তি শো-তে বলেন, ‘আমি আমার কাজে প্রচুর পরীক্ষা নিরীক্ষা করি কিন্তু আমার খাবারে তা করি না। আমি আসলে একটু ভিতু। যেহেতু আমি একেবারে খাঁটি নিরামিষাশী, তাই ডিম বা রসুন আমি খাই না। একই চামচ দিয়ে খাবার তোলা বা ছোঁয়াছুয়ির ব্যাপারটাকে আমি খুব ভয় পাই। তাই আমরা যখন বাইরে যাই, আমি শুধু নিরামিষ রেস্তোরাঁর খোঁজ করি। অথবা এক ব্যাগ ভর্তি খাবার নিজের সঙ্গে রাখি।’ এই মন্তব্যের জন্য বেশ ট্রোল হতে হচ্ছে সুধা মূর্তিকে।

সুধা মূর্তিকে এক টুইটার ব্যবহারকারী ‘প্যাসিভ অ্যাগ্রেসিভ কাস্টেস্ট (বর্ণবিদ্বেষী)’ আখ্যা দেন। এক টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, ‘তাঁর ব্রাহ্মণ্যবাদী আধিপত্য সম্পর্কে হাজার হাজার লুকোনো বার্তা মিলল এই মন্তব্যে। সরাসরি কোনও জাত বা ব্রাহ্মণের কোনও উল্লেখ না করে সতর্ক থাকলেন। তবে নিজের বক্তব্যও তুলে ধরলেন। তিনি খাঁটি নিরামিষ খাবার বহন করে কারণ ননভেজ চামচকে ভয় পান।’ একজন টুইটার ব্যবহারকারী আবার কটাক্ষের সুরে লেখেন, ‘আমি ভাবছি, কোন নিরামিষাশী নিজেকে ভেজাল নিরামিষাশী বলে আখ্যা দেয়?’ অন্য একজন আবার টুইট বার্তায় অভিযোগ করেন, ‘সুধা মূর্তি পরোক্ষভাবে এমন লোকদের তিনি নীচু হিসেবে দেখাচ্ছেন যারা তাঁর বিশ্বাসে বিশ্বাসী নন।’ অপর একজন আবার লেখেন, ‘আপনি ভ্রমণ করেনই বা কেন? কেন সারাজীবন ভারতীয় কোনও গৌরবময় গ্রামের মাটির বাড়িতে বাস করেন না? এবং ডলারের জন্য গরুর মাংস খাওয়া ক্রিস্টান ওয়েস্টে পা রাখবেন না।’

এদিকে অনেকেই আবার সুধা মূর্তির পক্ষেও টুইট করেছেন। তাঁদের একজন লেখেন, ‘সুধা মূর্তির ব্যক্তিগত পছন্দের কারণে তাঁর জাত বিচার করা অন্যায়। তিনি তাঁর নিজের খাবার বহন করেন। তিনি রসুন খান না। কিন্তু এটার জন্য তিনি অদ্ভুত নন বা বর্ণবাদী নন। এগুলি তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ। আমাদের উচিত সেগুলিকে সম্মান করা।’ অপর একজন সুধা মূর্তির হয়ে লেখেন, ‘নিজের খাবার বহন করার বিষয়টি ছোট করে দেখার কোনও কারণ নেই। এটা একজনের ব্যক্তিগত পছন্দ। ভারতের নিরামিষ পশ্চিমের নিরামিষাশী খাবার থেকে অনেকই আলাদা। পশ্চিমের নিরামিষে তো ডিম এবং মাছ রয়েছে। আর ভারতের নিরামিষে তো পেঁয়াজ বা রসুনও থাকে না।’