চীন ও ইউক্রেন ইস্যুতে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাইডেনের বৈঠক

চীন, অভিবাসন, গর্ভপাত এবং এলজিবিটিকিউ (সমকামী, উভকামী এবং ট্রান্সজেন্ডার) অধিকারের বিষয়ে ইতালির সঙ্গে উষ্ণ আলোচনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির উগ্র-ডানপন্থি অবস্থান নিয়ে মতপার্থক্য কমেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। পরে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির ভূয়সী প্রশংসা করেন বাইডেন।   

ওভাল অফিসে বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর বাইডেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং ইতালি ইউক্রেনের পাশে শক্তভাবে দাঁড়িয়েছে। মেলোনির সরকার বৈঠকের সময় রাশিয়ার নৃশংসতার বিরোধিতা করে খুব শক্তিশালী অবস্থান নেওয়ার প্রস্তাব করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি ইতালীয় জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। তারা আপনাকে (মেলোনি) সমর্থন করার পাশাপাশি ইউক্রেনকে সমর্থন করছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’  

অন্যদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইতালির প্রথম উগ্র-ডান প্রশাসন হিসেবে সরকার গঠন করা মেলনই জানান, ইউক্রেনের প্রতি ইতালির সমর্থনের জন্য তিনি গর্বিত।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কোন বন্ধুরা কঠিন সময়ে আছে তা আমরা জানি। আমি মনে করি পশ্চিমা দেশগুলো দেখিয়েছে যে তারা একে অপরের উপর অনেক বেশি নির্ভর করতে পারে। এটা সত্যিই দারুণ।’

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) তে ইতালির অংশগ্রহণ নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করলেও ওয়াশিংটনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেননি মেলোনি।

মেলোনির ব্রাদার্স অব ইতালি পার্টির সঙ্গে বেনিটো মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী আন্দোলনের ঐতিহাসিক যোগসূত্র রয়েছে। তিনি গণ অভিবাসন, সমকামিতার সমালোচনা করে থাকেন। এ ছাড়া পোল্যান্ড ও স্পেনের অতি-ডান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তার রয়েছে শক্ত সমর্থন।

এসব কারণে মেলোনির নির্বাচনে জয় পেলে তার কড়া সমালোচনা করেছিলে বাইডেন প্রশাসন। গণতন্ত্র এবং ন্যাটোর মতো আন্তর্জাতিক জোটের জন্য মেলোনির জয়ের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বাইডেন।

সূত্র: আল জাজিরা