দুই দিনের পর্যবেক্ষণে তামিম 

৩০ আগস্ট শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। এরপর অক্টোবরে ভারতে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই দুটি বড় টুর্নামেন্টের আগে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ। পিঠের ইনজুরিতে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবালের খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। যদিও ফেরার লড়াইয়ে এই মুহূর্তে তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন।  

লন্ডনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তামিমের পিঠের নিচের দিকের দুটি অংশে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। ইনজেকশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণের পর চিকিৎসকের পরামর্শে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তামিমের সঙ্গে আছেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। বিসিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেছেন, ‘তামিমের পিঠের সমস্যার জন্য একজন মেরদণ্ডের চিকিৎসককে দেখানো হয়েছিল। ব্যথা ব্যবস্থাপনায় তামিমের সঙ্গে চিকিৎসক কাজ করছেন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখার জন্য আগামী দুটি দিন তামিমকে রাখা হবে পর্যবেক্ষণে।’ 

লম্বা সময় ধরে পিঠের ইনজুরির সাথে লড়াই করছেন তামিম। যেহেতু অস্ত্রোপচার লাগছে না, সেক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে তার মাঠে ফেরার সময়টা লম্বা হবে না। এই ধরনের ইনজেকশন পুশ করার পর দ্রুত সময়ের মধ্যেই ম্যাচে ফেরা সম্ভব। জানা গেছে তামিমের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দুই ডিস্ক ঘিরে তিন থেকে চারটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। এই ইনজেকশন সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্নায়ুকে নিস্তেজ করে রাখে। কিন্তু সেটি কতদিন, তার স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেন না চিকিৎসকরাও।  আগেরবার ঠিক এমন ইনজেকশন নিয়ে তামিম তিন মাস পুরোপুরি ব্যথামুক্ত হয়ে খেলেছিলেন।

ইনজেকশন ঠিকঠাক কাজ করতে শুরু করলে এক সপ্তাহের মধ্যে অনুশীলনে ফেরা সম্ভব হবে তামিমের। তবে মূল পরীক্ষাটা হবে অনুশীলন শুরুর পর। ওখানে ব্যথা ফিরে এলে আরেক ধাপে ইনজেকশন নেওয়ার সুযোগ পাবেন। আর তাতে কাজ না হলে শেষ উপায় অস্ত্রোপচার। সেটি হলে এশিয়া কিংবা বিশ্বকাপ কোনোটাই খেলা হবে না তামিমের।