রাত পোহালেই চট্টগ্রাম-১০ আসনে ভোট

রাত পোহালেই রবিবার (৩০ জুলাই) চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) আসনের উপনির্বাচন। ইতোমধ্যে নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হওয়া প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাত ১২টায়।

চট্টগ্রাম-১০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১৫৬টি ভোট কেন্দ্রের এক হাজার ২৬১টি বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুই হাজার ১১০টি ইভিএম। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা থাকবে চার হাজার ১০৬ জন। নির্বাচনে শৃঙ্খলা রক্ষায় ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুই জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শনিবার (২৯ জুলাই) থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট কেন্দ্রগুলোতে বসানো হয়েছে এক হাজার ৪০৭টি সিসি ক্যামেরা। ভোট কেন্দ্রে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা  যেন প্রভাব বিস্তার করতে না পারে এ জন্য এসব সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে।’  

নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন—আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু ‘নৌকা’, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম ভুঁইয়া ‘রকেট’, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শামসুল আলম ‘লাঙ্গল’, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত ‘সোনালী আঁশ’ ও গণমুক্তি জোটের রশিদ মিয়া ‘ছড়ি’ প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, এ আসনের উপনির্বাচনে ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। তাদের মধ্যে ছয় জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও বাকি পাঁচজন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৮ জন এবং নারী দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৭৭ জন। এ ছাড়াও এ আসনে ২৩ জন ভোটার আছেন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া)।

সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গত ৮ জুন তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী রবিবার (৩০ জুলাই) এখানে উপনির্বাচন।

উল্লেখ্য, গত ২ জুন ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন। তিনি দীর্ঘদিন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এ আসন থেকে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পর পর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।