Airlines to have closed down: গত পাঁচ বছরে ভারতে বন্ধ হয়েছে ছোটো-বড় সাতটি বিমান সংস্থা, তালিকায় কারা

একের পর এক বিমান সংস্থা বন্ধ হয়েছে গত পাঁচ বছরে। সংখ্যাটা খুব কম নয়, গত পাঁচ বছরে হেরিটেজ এভিয়েশন এবং এয়ার ওড়িশা এভিয়েশন সহ মোট সাতটি এয়ারলাইন বন্ধ করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে, দেশে ১১টি সিডিউলড অপারেটর এবং ৫টি সিডিউলড কমিউটার অপারেটর রয়েছে। লোকসভায় একটি আলোচনার ভিত্তিতে লিখিত উত্তরে অসামরিক বিমান চলাচলের প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিংএই তথ্যগুলি সামনে এনেছেন।

তথ্য অনুসারে, ২১ জুলাই তারিখ পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে সাতটি এয়ারলাইন বন্ধ করা হয়েছে। দুটি এয়ারলাইন – হেরিটেজ এভিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড এবং টার্বো মেঘা এয়ারওয়েজ প্রাইভেট লিমিটেড – ২০২২ সালে বন্ধ হয়ে গেছে।

কেবল কোভিড অতিমারীর প্রভাবে নয়, ২০২০ সালেও বন্ধ হয়েছে জেক্সাস এয়ার সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, ডেকান চার্টার্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং এয়ার ওড়িশা এভিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের মত তিনটি বিমান সংস্থা। তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে জেট এয়ারওয়েজ (ইন্ডিয়া) লিমিটেড এবং জেট লাইট (ইন্ডিয়া) লিমিটেড বন্ধ হয়ে গেছে। জেট এয়ারওয়েজ একই ভাবে আর্থিক সংকটের কারণে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। বন্ধ হওয়ার পরে, জেট এয়ারওয়েজ (ইন্ডিয়া) লিমিটেড দেউলিয়া হয়ে এনসিএলটি, মুম্বাইয়ের আওতায় চলে যায়। ২০.০৫.২০২২ তারিখে পুনরায় এওসি জারি করা হলেও এয়ারলাইনটি তার কার্যক্রম শুরু করেনি। এওসি’র মেয়াদ ফের ১৯.০৫.২০২৩ তারিখে শেষ হয়ে যায়।

কিন্তু কেন এত সংখ্যক বিমান সংস্থা বন্ধ হল? ভারতের বেশির ভাগ রাজ্য সরকার জেট ফুয়েলের ওপর ৩০ শতাংশ কর নিয়ে থাকে। যার ফলে বাড়ে জ্বালানি খরচ ও বিমানের ভাড়া। ছোট বিমান সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে জেট ফুয়েলের খরচ তাদের মোট খরচের প্রায় অর্ধেকের হয়ে থাকে। এছাড়া, ভারতে নতুন বিমান পরিবহন সংস্থার কাছে চ্যালেঞ্জ বড় বিমান পরিবহন সংস্থাগুলির অস্তিত্ব। প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলি বিমানের ভাড়া কমিয়ে নতুন সংস্থাগুলির কাছে আরও বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হয়।

এছাড়াও ভারতে বিমান সংস্থাগুলির ব্যর্থতার পেছনে মহামারীও একটি কারণ। দেশে মহামারীর সময় বিমান ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সময় বহু বিমান পরিবহন সংস্থা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিল।