Sukanta Majumdar: ‘জিততে না পারলে কাপড় খুলে নেওয়া হবে’ সুকান্তকে বার্তা পাঠিয়ে বিতর্কে সরকারি আধিকারিক

রাজনৈতিক নেতাদের মুখে প্রায়ই কুকথা শোনা যায়। তাতে নতুন কিছু নেই। এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উদ্দেশ্যে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল এক সরকারি উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এনিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন ওই আধিকারিক। মণিপুরের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে ওই সরকারি আধিকারিক সুকান্ত মজুমদারকে আক্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, ‘ভোটে জিততে না পারলে আপনাদের কাপড় খুলে নেওয়া হবে’ বলেও হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় লিখেছেন ওই সরকারি আধিকারিক। এমনই অভিযোগ তুলেছেন খোদ সুকান্ত মজুমদার। পালটা এ নিয়ে আদালতে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে জরুরি তলব সুকান্তদের, মণিপুর নিয়ে দেওয়া হবে ‘কাউন্টার অ্যাটাক’-র কৌশল?

জানা গিয়েছে, ওই অধিকারিক খড়্গপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁর নাম শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সুকান্তর অভিযোগ, ওই আধিকারিক তাঁকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই আধিকারিক হরিরামপুরের প্রাক্তন বিডিও এবং বর্তমানে তিনি খড়গপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাওয়ার পরেই তিনি কে তা জানতে চান সুকান্ত। তখন ওই আধিকারিক জানান, তিনি হরিরামপুরের প্রাক্তন বিডিও। এ নিয়ে সুকান্ত মজুমদরের প্রশ্ন, একজন সরকারি আধিকারিক হয়ে কীভাবে তিনি রাজনৈতিক মন্তব্য করতে পারেন? এ নিয়ে তিনি অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন। সুকান্ত বলেন, ‘আমি অভিযোগ জানাবো ঠিকই। কিন্তু, এই তো বিডিওদের অবস্থা। দল এবং সরকার এক হয়ে গিয়েছে। সময় এলে বুঝিয়ে দেব কে কার কাপড় খোলে।’ সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, একজন সরকারি আধিকারিক এইভাবে কথাবার্তা বলতে পারেন না। তখন ওই আধিকারিক সুকান্তকে আদালতে গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেন বলেও তিনি দাবি করেছেন।

ওই আধিকারিক কেন হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় সুকান্তকে এই ধরনের কথা লিখলেন? এ প্রসঙ্গে খড়গপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমার মামার বাড়ি রায়গঞ্জে। সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে আগে থেকে পরিচয় রয়েছে। মাঝে মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয় আমাদের। সেই কারণে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সুকান্তর কাছে একটি বিষয় জানতে চেয়েছিলাম। মণিপুরের বিষয়টি সত্যি না মিথ্যে তা জানতে চাইছিলাম।’ এর বাইরে কিছু লেখেননি বলেই তিনি দাবি করেছেন ওই আধিকারিক। উল্লেখ্য, ওই আধিকারিক ২০১৯ সাল পর্যন্ত হরিরামপুরের বিডিও ছিলেন। পরে তাঁর পদোন্নতি হয়। এদিকে, এ বিষয় নিয়ে সমালোচনা করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি বলেছেন, ‘একজন সরকারি আধিকারিকের এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত হয়নি।’