55 Ft Netaji by Tarak Hajra: ৫৫ ফুটের নেতাজি এঁকে ইন্ডিয়ান রেকর্ডসে নাম! কতটা কঠিন ছিল? জানালেন শিল্পী তারক

৫৫ ফুটের বিশাল মূর্তি। নেতাজির এমন বিশাল মূর্তি দেখা আছে বলে মনে করতে পারছে না দুবরাজপুরের কেউ। সেই মূর্তিটি অবশ্য গোটাটাই আঁকা। আর সেই আঁকার জেরেই পুরষ্কার জিতলেন আঁকিয়ে। বীরভূমের দুবরাজপুরের চিত্রশিল্পীর আঁকা নেতাজির ছবি রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। কিছু দিন আগে ছবিটিকে প্রদর্শনীতেও রাখা হয়। বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভা থেকে আয়োজিত প্রদর্শনীতে ছিল সেই ছবি। তখনই দর্শকদের মধ্যে আলোড়ন তৈরি করে ছবিটি। এর পর এল এক অযাচিত পুরষ্কার। ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠল সেই ছবির। পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তারক হাজরা হলেন সেই শিল্পী। তাঁর তুলির টানেই ফুটে উঠেছে বিশালাকারের ৫৫ ফুটের নেতাজি প্রতিকৃতি। তার সুবাদেই এবার বিশেষ খেতাব জুটল তারকের‌। 

(আরও পড়ুন: কাটাছেঁড়ার দিন শেষ? আলো ও কণা দিয়েই অস্ত্রোপচার হবে? গবেষণায় নয়া পথের হদিশ)

সংবাদ মাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হলে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ছিলেন তারক হাজরা। কীভাবে এই ছবি এঁকেছেন তিনি, সেই অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নেন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ২১০টি আর্ট পেপার জুড়ে তৈরি করা হয়েছে এই বিশাল আকারের নেতাজি প্রতিকৃতি। সেই প্রতিকৃতি তৈরি করতে মোট ২২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তাঁর ‌। এর মধ্যে কিছু আর্থিক সাহায্য তিনি পেয়েছেন দুবরাজপুর পুরসভা থেকে‌। প্রদর্শনীতে পুরসভার সহযোগিতার পাশাপাশি সে কথাও জানান তিনি। এই প্রসঙ্গে উঠে আসে কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের। তাঁদের তরফে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে তারক হাজরাকে। যে সম্মানে সম্মানিত হয়ে দৃশ্যতই আপ্লুত তিনি।

(আরও পড়ুন: শুধু সিওপিডি নয়, ক্যানসারও ওঁত পেতে! একটি কাজেই ঝুঁকি বাড়ছে আপনার)

প্রসঙ্গত প্রদর্শনীর দিন বেশ ভিড় ছিল পুরসভার সামনে‌। দুবরাজপুর পুরসভার সামনে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান ৫৫ ফুটের বিশাল প্রতিকৃতি চাক্ষুষ করতে। শিল্পীর প্রসঙ্গে দুবরাজপুরের চেয়ারম্যান পীযুষ পাণ্ডে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তারক হাজরা দীর্ঘ দিন ধরেই ছবি আঁকার সঙ্গে যুক্ত। গ্রামের বাচ্চাদেরও আঁকা শেখান তারক। এছাড়া নিজের একটি স্কুল রয়েছে তাঁর। এই প্রসঙ্গে তারক হাজরাকে ভালো শিল্পী বলে উল্লেখ করেন পীযুষ পাণ্ডে। কথায় কথায় উঠে আসে এলাকার বসে আঁকো প্রতিযোগিতার কথা। শিক্ষক হিসেবেও যে তারকবাবু বেশ উঁচুদরের, তার প্রমাণ মেলে প্রতিযোগিতায়। বেশিরভাগ প্রতিযোগিতায় তারকবাবুর ছাত্রছাত্রীরাই প্রথম পুরস্কার জিতে নেন। এই দিন তাদের মাষ্টারমশাইয়ের নাম উঠল ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডসের খাতায়।