WB University of Health Sciences: স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের VC এখনও কেন পদত্যাগ করেননি? চিঠি পাঠাল রাজভবন

অন্যান্য উপাচার্যরা পদত্যাগ করলেও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এখনও পদত্যাগ করেননি। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চিঠি পাঠাল রাজভবন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের অফিস থেকে পাঠানো চিঠিতে এর কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এ প্রসঙ্গে বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পাল জানিয়েছেন, রাজভবন থেকে কোনও চিঠি পাঠানো হলে তার উত্তর দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ৫ বড় খবর: রাজ্যপালের ডাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় কেন্দ্রের প্রথম বৈঠক আজ

রাজভবনে পাঠানো চিঠিতে আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, আদালতের রায়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা পদত্যাগ করেছেন। সেই রায় অনুযায়ী, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ করার কথা। কিন্তু, তা না করে তিনি কোন অধিকারে উপাচার্যের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন? তাই প্রশ্ন তোলা হয়েছে চিঠিতে। সে ক্ষেত্রে আদালতের রায় না মেনে উপাচার্য আদালত অবমাননা করছেন বলেই উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।  জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল এই চিঠি পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ রেজিস্ট্রার  উপাচার্য বাছাইয়ের সার্চ কমিটি আহবান করতে পারেন। কিন্তু তিনি একজন উপাচার্যকে পদত্যাগ করার জন্য বলতে পারেন না। কারণ রেজিস্ট্রারকে হলেন উপাচার্যের অধনস্থ পদ।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাছাইয়ের সার্চ কমিটিতে ইউজিসির প্রতিনিধিত্ব ছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে আইন সংশোধনের পর সেই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ইউজিসির প্রতিনিধিকে। তার পরিবর্তে রাজ্য সরকারের মনোনীত ব্যক্তি, রাজ্যপালের মনোনীত ব্যক্তি, উচ্চ শিক্ষা দফতরের চেয়ারপার্সন, স্বাস্থ্য সচিব, মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতিকে নিয়ে নতুন সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে। সেই নতুন সার্চ কমিটি সুহৃতা পালকে উপাচার্য হিসেবে বেছে নিয়েছে। 

সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে দুটি পৃথক মামলা হয়। কিন্তু দুটি মামলাতেই রাজ্য সরকার হেরে যায়। সেক্ষেত্রে আদালত নির্দেশ দেয় সার্চ কমিটিতে ইউজিসির প্রতিনিধিত্ব বাধ্যতামূলক। আদালতের এই নির্দেশের পরে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করেন। কিন্তু সুহৃতা পাল এখনও উপাচার্যের দায়িত্ব রয়েছেন। তাই নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে রাজভবন থেকে।