বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় সম্পর্কে এর আগেও বিষোদ্গার করেছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা। সেই দলে দেবাংশু ভট্টাচার্যও ছিলেন। ফের তিনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে নিশানা করে তীব্র কটাক্ষ করলেন। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঘুরছে পোস্ট! আস্তে আস্তে খুলছে মুখোশ। তবুও আমরা রয়েছি চুপ! মুখ খুললেই শাস্তি মিলবে, নগ্ন হয়েছে ন্যায়ের রূপ।
তার নীচেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের ছবি। সেখানে পরপর কয়েকটি তারিখ দিয়ে লেখা একাধিক উক্তি।
৩১ জুলাই ২০২৩- শিক্ষকদের এই অবস্থা? স্কুল চালাতে না পারলে আদানিকে বেচে দিন।
২০শে মে ২০২২- সুযোগ হলে গান্ধী পরিবারের সম্পত্তির হিসেবও চাইতে পারি।
২৫শে জুলাই ২০২৩- সিবিআইয়ের গা ছাড়া মনোভাব দেখলে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে জানাব।
২৮শে জুলাই ২০২৩ দরকার পড়লে যোগী আদিত্যানাথের থেকে বুলডোজার ভাড়া করুন
ওপরে লেখা রয়েছে, এ কীসের ইঙ্গিত?
তবে পরে অবশ্য় সেই পোস্ট আর দেখা যায়নি সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুছে ফেলা হয় সেই পোস্ট। তবে একাধিক সংবাদ মাধ্য়মে এনিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তবে বঙ্গবাসী অনেকের মতে, বিচারপতিদের কটাক্ষ করাটা আজ আর তৃণমূলের কাছে নতুন কিছু নয়। একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, একেবারে বিচারপতি নাম করে কটাক্ষ করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তো একেবারে বেলাগাম আক্রমণ করেন বিচারপতিদের। এনিয়ে বাংলা জুড়ে বার বারই নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তারপরেও বিচারপতিদের নিশানা করে কাদা ছুঁড়তে পিছুপা হননি তাঁরা।
তবে সেই তালিকার সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাম আমলেও এক বিচারপতিকে নিশানা করে কটূ কথা বলেছিলেন এক বাম শীর্ষ নেতা। তবে পরে অবশ্য তিনি এনিয়ে সংশোধন করে নেন। তবে শাসক দল তৃণমূল কিন্তু কার্যত বেলাগাম। একেবারে নাম করে তাঁরা বিচারপতিকে নিশানা করেন। বিচারপতি কোনও মন্তব্য করলেই সেটা নিয়ে শুরু হয়ে যায় কুকথা। মাঝেমধ্যে তা শালীনতার বেড়া পেরিয়ে যায়। এই প্রবণতা আর কতদিন চলবে তা নিয়েও প্রশ্ন।