Increase in State govt holidays-এবার থেকে সবে বরাত ও করম পুজোয় রাজ্য সরকারি কর্মীরা সবাই ছুটি পাবেন

রাজ্যে আরও দু’দিন ছুটি। এই ছুটির কথা আজ, বুধবার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার নবান্ন থেকে এই দু’‌দিন ছুটির ঘোষণা করেন তিনি। আর এখান থেকেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে সব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেন তিনি। সব সংস্কারের মানুষের জন্যই তাঁর সরকার কাজ করে যাবে বলে জানিয়ে দিলেন। ইন্ডিয়া জোট যখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অভিযোগ তুলছেন তখন এই ছুটি ঘোষণা এবং সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা পৃথক মাত্রার দাবি রাখে।

ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ এদিন ছুটি ঘোষণা করতেই খুশির হাওয়া বয়ে যায় রাজ্যের মানুষের মধ্যে এবং সরকারি কর্মচারীদের মনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‌এতদিন পর্যন্ত রাজ্যে সবে বরাত এবং করম পুজোতে সেকশনাল হলিডে থাকত। নির্দিষ্ট একটি শ্রেণির মানুষ ছুটি পেতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই দু’‌দিনের পূর্ণাঙ্গ ছুটি দেওয়ার দাবি উঠছিল। এবার থেকে ওই দু’‌দিন রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করল। আমরা সব উৎসবকে সমান গুরুত্ব এবং সম্মান দিই। এখানে দুর্গাপুজো এবং ইদে ছুটি পায় সব সম্প্রদায়ের মানুষজন। রঘুনাথ মুর্মু থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত বর্মার জন্মদিনেও পুরোপুরি ছুটি দেওয়া হয়।’‌

আর কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ এদিন নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‌আমরা সমস্ত ধর্মের উৎসব পালন করে থাকি। ইদের ছুটিও পান সকলেই। দোলেরও ছুটিও দেওয়া হয়। আমরা মনে করি সর্ব ধর্ম, সর্ব কর্মর মিলনস্থল হল এই বাংলা। এই রাজ্য কাউকে বঞ্চিত করে না। সকলে যদি বলেন ৩৬৫ দিনই ছুটি নয় কেন?‌ সেটা তো দেওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে কাজ কখন হবে। কিন্তু ভাল কাজ করলে ভাল ছুটির আশা করাই যেতে পারে। এই রাজ্যে মেয়েদের মেটার্নিটি লিভ দেওয়া হয় ৭৩১ দিন। আর এক মাসের পিতৃত্বকালীন ছুটিও দেওয়া হয়।’‌

আরও পড়ুন:‌ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নতুন সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক, রাজ্যের কোন মন্ত্রীর মেয়ে?‌

রাজ্যের পুরষ্কার প্রাপ্তি নিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ ২০২২ সালের স্কচ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। শিল্প বান্ধব পরিবেশের জন্য স্কচ অ্যাওয়ার্ড এসেছে বঙ্গে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‌আলিপুর সংশোধনাগারে একটি সংগ্রহশালা করা হচ্ছে। বাংলা একাধিক ক্ষেত্রে নানা উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি পেয়েছে। সেগুলি আমাদের সম্পদ। এবার থেকে সেগুলি সংগ্রহশালায় রাখা হবে। যাতে গবেষকরা সেখান থেকে তথ্য নিতে পারেন। বস্ত্র বিপণিতে আমরা প্রথম। হ্যান্ডলুম ও টেক্সটাইলে পশ্চিমবঙ্গ ভাল কাজ করেছে। রাজ্য সরকার যে সমস্ত পুরষ্কার পেয়েছে, সব নিয়ে আলিপুর জেলে প্রদর্শনী করা হবে।’‌