Sex Slave: অপহরণ করে ১৪ বছর ধরে তরুণীকে ‘যৌনদাসী’ করে রাখার অভিযোগ, ঘরে সেক্স টয়তে ভর্তি, ধরে ফেলল পুলিশ

এই ঘটনাকে ভয়াবহ বললেও কম বলা হয়। রাশিয়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তি একজন মহিলাকে অপহরণ করে তার বাডি়তে রেখে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কার্যত ওই মহিলাকে তিনি সেক্স স্লেভ বা যৌন দাসী  হিসাবে ব্যবহার করতেন। গত ১৪ বছর ধরে তিনি ওই মহিলাকে বাড়িতে আটকে রেখেছিলেন। অভিযুক্তের নাম ভ্লাদিমির চেসকিদভ। বয়স ৫১। ওই মহিলাকে অন্তত হাজারবার ধর্ষণ করেছে ওই ব্যক্তি। অভিযোগ এমনটাই। তাকে রীতিমতো মারধর করত সে। উরাল পাহাড়ের ধারে ওই ব্যক্তির বাড়ি। সেখানেই সে এই কাণ্ড ঘটায়। খবর এক্সপ্রেস সূত্রে। 

পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তবে হেফাজতেই মঙ্গলবার ভেঙে পড়েন তিনি। তার দাবি দোষের কিছু করিনি। আমি ওকে ভালোবাসি। 

স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে মানুষের হাড়গোড় মিলেছে। সেখানে সেক্স টয় মিলেছে। পর্নোগ্রাফির প্রচুর সিডিও পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্তের মাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বয়স ৭২ বছর। তিনিও এই অপহরণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। 

ওই মহিলার বয়স ৩৩ বছর। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০০৯ সাল থেকে তাকে আটকে রাখা হত। বাড়ির কাজ করার জন্য তাকে খালি বের করা হত। কিন্তু তখনও ছুরি ধরে কাজ করানো হত। একটু এদিক ওদিক হলেই চলত মার। 

তার দাবি, ২০১১ সালে ওই ব্যক্তি এক মহিলাকে খুন করে। এরপর তার শরীরটাকে কেটে ফেলার জন্য আমাকে চাপ দেয়। ওই মহিলার নাম ওকসানা। তিনি নাকি ওই ব্যক্তির স্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ওই মহিলাকে কীভাবে অপহরণ করেছিলেন চেসকিডভ? 

ওই মহিলার দাবি ২০০৯ সালে একটি বাসস্টপে তার সঙ্গে চেসকিডভের দেখা হয়েছিল। পানীয় খাওয়ার জন্য তিনি বাড়িতে ডেকেছিলেন। সেই মতো তিনি বাড়িতে আসেন। আর তিনি বাড়িতে আসতেই তাকে ছুরি ধরে আটকে রাখা হয়। তারপর থেকেই তাকে আটকে রাখা হয়। 

এদিকে সম্প্রতি ওই ব্যক্তি মানসিক অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন। সেই সুযোগেই ওই মহিলা পালিয়ে গিয়ে পুলিশকে জানান।