Cooch Behar: কোচবিহার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত এক যুবক, গরুপাচারকারী সন্দেহ

কোচবিহারের মাথাভাঙা থানা এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রামে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হল এক যুবকের। কাঁটাতারের ধারে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিলেন ওই যুবক। তার দেহের পাশ থেকে একটি দা ও বাঁশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি গরুও। মৃতদের উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম মকলেশ্বর হক (৩৫)। তাঁর বাড়ি সীমান্ত লাগোয়া নয়ারহাট গ্রামে বাড়ি।

বিএসএফ ১৬৯ ব্যাটেলিয়ানের দাবি, বুধবার ভোর রাতে গরুপাচারের জন্য কাঁটাতারের বেড়া কাটার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। বিএসএফ বাধা দিতে গেলে পাল্টা হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালানো হয় বলে বিএসএফ আধিকারিকরা জানিয়েছেন। গুলিতে এক জন মারা যায়। বাকি অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

কোচবিহারে পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা বলেন, ‘মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে দেহে কতগুলি গুলি লেগেছিল।’

জানা গিয়েছে নিহত পুলিশের বাড়ি দিনাহাটা থানার নয়ারহাট এলাকায়। যে সীমান্ত এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে সেখান থেকে তাঁর বাড়ি ৫০ কিলোমিটার দূরে। 

নিহত যুবকের দাদা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, তাঁর ভাই বাড়িতেই থাকতেন। কিন্তু তিনি কী কাজ করতেন সে সম্পর্কে বাড়ির কেউ জানাত না। কী করে তাঁর ভাই এত দূরে সীমান্ত এলাকায় গেলেন তা জেনে অবাক হচ্ছেন তাঁরা। 

পুলিশ জানিয়েছে, কুয়াশা বা বৃষ্টি হলে সাধারণ দৃশ্যমানতা কম থাকে। সেই সময় সীমান্তে সক্রিয় হয় গরুপাচারকারীরা। বুধবার ভোররাতে ভারী বৃষ্টির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একদল পাচারকারী বাংলাদেশে গরুপাচার করার জন্য ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিল। বিএসএফের দাবি, দা দিয়ে কাঁটা তার কাটার সময় তাদের বিষয়টি নজরে আসে। প্রথমে তার সতর্ক করলেও তাদের তাদের কথা শোনেনি পাচারকারীরা। বাধা দিতে গেলে উল্টে তারা হামলা চালায়। আত্মরক্ষার প্রয়োজনে গুলি চালিয়েছে বিএসএফের জওয়ানরা।