Forest ministry on leopards: চিতাবাঘের হামলা কমাতে তাদের সংখ্যা কমানোর ভাবনা! কীভাবে সম্ভব? জানালেন বনমন্ত্রী

বেশ কিছু দিন ধরে বনের আশেপাশের গ্রামের মানুষরা নাজেহাল। ঘন ঘন চিতাবাঘের হামলায় তটস্থ হয়ে থাকতে হয়। দিন দিন যেন হামলাও বেড়ে চলেছে। সেই হামলা কমাতেই এবার নয়া ভাবনা চিন্তা শুরু করল মহারাষ্ট্রের বন দফতর। স্টেরিলাইজেশন বা নির্বীজকরণ পদ্ধতিতে চিতাবাঘের সংখ্যা কমানোর দিকেই নজর দিচ্ছে তারা। তবে স্টেরিলাইজেশন করতে হলে দরকার কেন্দ্রের অনুমতি। কেন্দ্র থেকে অনুমতি না পেলে এই প্রক্রিয়া কোনও প্রাণীর ক্ষেত্রে শুরু করা যায় না। সম্প্রতি এই নিয়ে প্রাথমিক বৈঠক হয় রাজ্যের বন মন্ত্রী ও দফতরের মধ্যে। সেই আলোচনামাফিক কেন্দ্রকে এই আবেদন পাঠানোর কথা ভাবছে মহারাষ্ট্রের বন দফতর।

(আরও পড়ুন: ৫৫ ফুটের নেতাজি এঁকে ইন্ডিয়ান রেকর্ডসে নাম! কতটা কঠিন ছিল? জানালেন শিল্পী তারক)

সম্প্রতি বনমন্ত্রী সুধীর মুঙ্গাতিয়ারের একটি বৈঠকের পর সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এই নিয়ে জরুরি প্রস্তুতি শুরু করতে বলা হয়। এমনকী এই ব্যাপারে অন্যান্য রাজ্য কী কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেগুলিও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত,  কোপ্রিডেটরস ও মেগাহার্বিভোরস ইন ইন্ডিয়া ২০১৮-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা ভারতের ১২,৮৫২টি চিতাবাঘের মধ্যে ১৬৯০টিই রয়েছে মহারাষ্ট্রে। পরিসংখ্যানে নিরিখে এই রাজ্য অবশ্য তালিকায় তৃতীয়। চিতাবাঘের পরিসংখ্যানের নিরিখে তালিকার প্রথমে মধ্যপ্রদেশ ও তার পরে কর্ণাটক। মধ্যপ্রদেশে ৩৪২১টি ও কর্ণাটকে ১৭৮৩টি চিতাবাঘ রয়েছে। গত কয়েক বছরে সংখ্যাটা আরও বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

(আরও পড়ুন: শুধু সিওপিডি নয়, ক্যানসারও ওঁত পেতে! একটি কাজেই ঝুঁকি বাড়ছে আপনার)

এই প্রসঙ্গে সুধীর হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘কেন্দ্র চিতাবাঘের নির্বীজকরণের ব্যাপারে একটু কঠিন মনোভাব পোষণ করে। কিন্তু এই ব্যাপারে তাদের অনুমতি ছাড়া এগোনোও অসম্ভব।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘গত কয়েক বছরে চিতাবাঘের আক্রমণের হার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। লোকালয়ে হামলার কারণে আহত ও নিহতের সংখ্যাও বাড়ছে।’ হামলার সংখ্যা কমাতে ইতিমধ্যে খাঁচা ও উদ্ধারকারী যানের সংখ্যা বাড়ানোর উপরেও জোর দিয়েছে বন দফতর।

এই মর্মে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষাও শুরু হয়েছে বলে জানাচ্ছে মহারাষ্ট্রের বন দফতর। বনের ভিতর যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘাসের জমি ও জল থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, বনের চারপাশে থাকা গ্রামে সচেতনতাও প্রচার করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে, বনমন্ত্রী জানান, বন দফতরের খাঁচায় এখন ৬৫টি বাঘ বন্দী রয়েছে। তাদের মধ্যে এমন চিতাও রয়েছে যারা রেষারেষির কারণে গুরুতর আহত।