Mamata Banerjee: ‘ঝগড়া হতো, তবে এমনটা করেননি,’ ধনখড়ের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যপালের সমালোচনায় মমতা

রাজভবনে ‘দুর্নীতি দমন’ সেল চালু করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে, রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি পূর্বসূরি ধানখড়ের প্রসঙ্গও টানলেন।

বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’রাজ্যপাল মহাশয় নাকি দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি স্পেশাল সেল করছেন। এটা তো রাজভবনের কাজ নয়। আমরা রাজ্যপালকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু রাজ্য সরকারের যেটা অধিকার, সেই অধিকারে উনি অকারণে হস্তক্ষেপ করছেন।’

(পড়তে পারেন। ‘আগে দেখুন অভিযোগ সত্যি কিনা!’ নুসরতের ‘দুর্নীতি’ প্রসঙ্গে মমতা)

তবে এর আগে এই সেল সেলের উদ্বোধন করে রাজ্যপাল একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি জানিয়ে দেন তাঁর ‘এক্তিয়ার’-এর মধ্যে থেকেই তিনি কাজ করছেন। রাজভবনে এই সেলের উদ্বোধন করে রাজ্যপাল বলেন,’ কেউ যদি টাকা চায় তাহলে তার ছবি নিন। আমাকে পাঠিয়ে দিন।’ তাঁর এই উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর কথার পরিপ্রেক্ষিতেই তা জানিয়ে রাজ্যপাল বোস বলেম, ‘কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রী এই কথাই বলেছিলেন। আমি তা চালু করতে চাই। কেউ দুর্নীতি করলে জানান। আমরা সেই অভিযোগ উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে দেব।’ সেই সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়ে দেন, তিনি লক্ষ্মণরেখার মধ্যে থেকেই কাজ করছেন।

সাংবাদিক বৈঠকে এর পরই মমতা উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গে তোলেন। তিনি বলেন,’বাইরে থেকে লোক এনে কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। কেন বাংলায় কি লোক নেই? আমরা শুনলাম কেরলের একজনকে এনে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করে দেওয়া হয়েছে।’

এর পরই তিনি পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের প্রসঙ্গ তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’ধনখড় যখন রাজ্যপাল ছিলেন, আমাদের সঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে বিতর্ক হয়েছে, ঝগড়াও হয়েছে। কিন্তু উনি কিন্তু কখনও এমনটা করেননি।’

এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা ও হানাহানি নিয়ে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল বোস। পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে তিনি নিজেও পথে নামেন। ভোট মিটিতেই তিনি সরব হয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে। রাজভবনে ‘দুর্নীতি দমন’ সেল চালু করার কথা ঘোষণা করেন। যে সেলে যে কোনও রকম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে। 

ইতিমধ্যেই এই ‘কন্ট্রোল রুম’ -এর বিরুদ্ধে সবর হয়েছে শাসকদল। রাজ্যপালকে ‘বিজেপির দালাল’ বলে কটাক্ষ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি তেমন কিছু না বললেও, সমোলাচনায় সুর চড়া করে বলেছেন, ‘এখন দেখছি, মুখোশের আড়ালে বিজেপি যা বলছে, উনি তা-ই করছেন।’