Kandi court: আদালত চত্বরে উকিলের চেম্বারে সালিশি সভায় তুলকালাম কাণ্ড, মাথা ফাটল ৩ জনের

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে সমস্যা। আর এর সমাধানে উকিল বাবুর চেম্বারে বসেছিল সালিশি সভা। এর জন্য উকিল বাবুর চেম্বারে দুপক্ষের পরিবারের সদস্যদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। আর সেই সালিশি সভা শেষ হতেই তুলকালাম বাঁধল। দুপক্ষের মধ্যে মারপিট বেঁধে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল আদালত চত্বরে। একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ল দুপক্ষ। কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় আদালত চত্বর। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে কান্দি মহকুমা আদালত চত্বরে। এই ঘটনায় ৩ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিজেপির জেলা সভাপতিকে জুতোপেটা মহিলা কর্মীর, কলকাতা হাইকোর্টে তুলকালাম

জানা গিয়েছে, কান্দি থানার হিজল নতুন গ্রাম এলাকার যুবক স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে চেয়েছিলেন। তারজন্য দুপক্ষকে বসিয়ে সালিশি সভা চলছিল কান্দি কোর্ট চত্বরের মধ্যে ওই উকিলের চেম্বারে। সভা শেষ হতে না হতেই  শুরু হয় উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটি। আচমকা মেয়ে পক্ষের লোকজন চেম্বারে বাইরে থাকা লোহার সাইনবোর্ড দিয়ে ছেলে পক্ষদের আঘাত করে। শুরু হয় উভয় পক্ষের মারামারি ও ইট–পাটকেল ছোড়া। ঘটনার খবর দেওয়া হয় কান্দি থানার পুলিশকে। যদিও ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। তবে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা কোর্ট চত্বরে।

আবদুল খালিদ সেখ নামে ওই যুবকের গ্রামের বাসিন্দার দাবি, মেয়েটির চরিত্র ভালো ছিল না। তাই দু পক্ষ মিলে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত মতোই আজ শুক্রবার কান্দি আদালত চত্বরে উকিলবাবুর চেম্বারে সালিশি সভা বসেছিল। তাতে দুই পক্ষের লোকজনই উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হয় মেয়ে পক্ষকে টাকা ২ লক্ষ ২৫০০০ টাকা দিয়ে বিবাহ বিচড করানো হবে। তাতে উভয় পক্ষ সম্মতি জানায়। কিন্তু, ছেলে পক্ষ বাইরে বেরোতেই তাদের উপর হামলা চালায় মেয়ে পক্ষের লোকজন। তাঁর দাবি, মেয়ের পরিবার আগে থেকে তাঁদের মারধর করার পরিকল্পনা করেছিল। সেই কারণে উকিল বাবুর চেম্বার থেকে বের হতেই তাঁদের মারধর করা হয়েছে। ঘটনায় তিনজনের মাথা ফেটেছে। 

যুবকের দাবি, তাঁদের ১০ বছর আগে বিয়ে হয়েছে। তবে সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই এর আগে গ্রামে সালিশি সভা বসেছিল। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে। পরে উকিলবাবুর মধ্যস্থতায় বিবাহ বিচ্ছেদে রাজি হয় দু পক্ষ। স্ত্রীর দাবি মতোই তিনি ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তারপরও তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।