Sugar Stock: টেনশন নেবেন না! উৎসবের মরশুমে চিনির যোগান নিয়ে খুশির বার্তা দিল কেন্দ্র

জিয়া হক

শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে আগামী উৎসবের মরসুমের আগে দেশে চিনির যথেষ্ট মজুত রয়েছে। তবে আগামী দিনে কোনও ঘাটতি হবে কি না সেটা বোঝার মতো পরিস্থিতি এখনও আসেনি। কারণ সম্প্রতি একটি শিল্পোদ্যোগীদের সংস্থার তরফে আশঙ্কা করা হয়,চিনির ঘাটতি হতে পারে দেশে।

ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্য়াসোসিয়েশন সম্প্রতি এনিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল।

তবে কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সঞ্জীব চোপড়া জানিয়েছেন, দেশের কাছে বর্তমানে ১০.৮ মিলিয়ন চিনি রয়েছে। তবে বর্তমান চাহিদা মেটানোর পক্ষে তা যথেষ্ট। আগামী উৎসবের মরসুমের জন্য যে চাহিদা সেটাও মেটানো যাবে। বর্তমানে যে চিনি মিলছে তা প্রয়োজনের থেকে বেশি।

অন্যদিকে সরকারি নির্দেশ অনুসারে আখ উৎপাদনের একাংশ ইথানল তৈরির জন্য ব্যবহার করতে হয়। পেট্রলের সঙ্গে মেশানো হয় এটি।

আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কিছু জায়গায় অতিবৃষ্টি হয়েছে। তবে আখের উৎপাদন ঠিকই আছে। তবে মাস দুয়েকের মধ্য়ে সরকার এনিয়ে নিজস্ব হিসাব জানাবে বলে খবর।

খাদ্য সচিব জানিয়েছেন, গতবার ৫.৩ মিলিয়ন হেক্টর জায়গায় আখ চাষ হয়েছিল। এবার চাষের জায়গা বৃদ্ধি পেয়ে ৫.৬ মিলিয়ন হেক্টর হয়েছে। যে সমস্ত রাজ্য়ে আখের চাষ হয় সেখানে আখ পাকতে শুরু করেছে। তবে এখনই উৎপাদন কেমন হবে তা নিয়ে হিসেব দেওয়া সম্ভব নয়।

এদিকে ভারতে যেমন চিনির উৎপাদন প্রচুর তেমনি চিনি ব্যবহারও প্রচুর হয়। তবে মূলত বাণিজ্যিক বিভিন্ন সামগ্রী উৎপাদনের জন্য় চিনি লাগে। তবে মাত্র ১০ শতাংশ চিনি লাগে আমাদের ঘরোয়া কাজে।

তবে চিনির সংকট হবে, চিনির আকাল হবে এসব বললে আচমকা দাম বাড়তে পারে চিনির। কালোবাজারি শুরু হয়ে যেতে পারে। উদ্বেগে পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। আবার সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সব মিলিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। তার জেরে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে পা ফেলতে চাইছে সরকার।