Darjeeling offbeat Pujo tour 2023: সবুজ চা বাগান,সারি সারি পাহাড়, যেন তুলি দিয়ে আঁকা দার্জিলিংয়ের এই নির্জন গ্রাম

ঘিঞ্জি দার্জিলিংকে এড়িয়ে গিয়ে পাহাড়ের একটু অফবিট জায়গার খোঁজ করছেন অনেকেই। আর দার্জিলিং পাহাড়ে এই অফবিট জায়গা ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র। কিন্তু বিষয়টা এমন হয়ে যাচ্ছে এই অফবিট জায়গাগুলোতেও ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। মানে আপনি কলকাতার ভিড় থেকে বাঁচতে নির্জনতা খুঁজতে গেলেন পাহাড়ে। আর পাহাড়ে গিয়েও দেখলেন গিজগিজ করছে ভিড়। সেক্ষেত্রে ঠিক কোথায় গেলে আপনি মনের মতো নির্জনতা পাবেন সেটা দেখাটাও জরুরী।

তবে এক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রমী জায়গা হতে পারে পেশক।নামটা কি চেনা চেনা লাগছে? আপনি যেটা ভাবছেন সেই পেশকের কথাই বলা হচ্ছে। তিস্তা বাজার থেকে কিছুটা দূরেই এই পেশক। এখান থেকে তাগদা, তিনচুলে, লামাহাটা ঘুরে আসতে পারেন।

অনেকে আবার এখান থেকে ত্রিবেণী চলে যান। ত্রিবেণীতে নদীর ধারে টেন্টে থাকার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু সেখানেও নির্জনতার খোঁজে গিয়ে দেখবেন ভিড় ভালোই হচ্ছে ইদানিং । পাহাড়, নদী আর জঙ্গলের মাঝে ছোট ছোট তাঁবু। অপূর্ব সুন্দর জায়গা। আর সেখানে গিয়ে দেখবেন, কোথায় নির্জনতা? পাশের পাড়ার কাকুর সঙ্গেও দেখা হয়ে যেতে পারে। তবে ত্রিবেণী জায়গাটা মন্দ নয়। সে ক্ষেত্রে পেশক থেকে আপনি ত্রিবেণী সহ বাকি জায়গাগুলো দেখে নিতে পারেন।

পেশক মানেই যে জায়গাটার কথা প্রথমেই মনে আসে সেটা হল পেশক টি গার্ডেন।

এখানেই আপনার দিনের অনেকটা সময় কেটে যাবে। দিগন্ত বিস্তৃত চা বাগান, চা পাতা তুলছেন চা শ্রমিকরা। সেগুলো ওজন করছেন, নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে রাখছেন। সঙ্গে স্কুল পড়ুয়া বাচ্চা থাকলে ওদের একটা শিক্ষামূলক ভ্রমণও হয়ে যাবে।

পেশক থেকে আপনি পাহাড়ের একাধিক রেঞ্জ দেখতে পাবেন। ইদানিং কিছু হোমস্টে গড়ে উঠেছে। আগাম বুক করে চলে যেতে পারেন।

তবে বর্ষাকালে গেলে সারাদিন হোমস্টেতে বসে কাটিয়ে দিতে হতে পারে। মেঘের খেলা দেখতে হবে আর দিনভর রিমঝিম বৃষ্টি। সে ক্ষেত্রে অক্টোবরের পরে যাওয়াটাই ভালো। অন্যদিকে জানুয়ারি শেষ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত পেশক খুব ভালো।

এনজেপি স্টেশনে নেমে পেশক যেতে গেলে মোটামুটি আপনাকে ৬৫ কিলোমিটার যেতে হবে। এক্ষেত্রে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন। আবার দার্জিলিং থেকেও অনেকে পেশকে আসেন।