Awami League & BJP leaders meet: দিল্লিতে BNP-জামাতের পাক যোগ নিয়ে সরব আওয়ামি লিগ, পকেটস্থ করল BJP-র প্রশংসা

বিজেপির আমন্ত্রণে গত রবিবারই ভারতে এসে পৌঁছেছিল বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের এক প্রতিনিধি দল। হাসিনার দলের পাঁচ সদস্যের এই সফর নিয়ে বেশ কৌতুহল ছিল। কারণ কমিউনিস্ট দেশ ছাড়া এভাবে রাজনৈতিক কোনও দল অন্য দেশের রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানায় না। এদিকে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। এই আবহে বিজেপির আমন্ত্রণে আওয়ামি লিগ নেতাদের ভারতে আগমন ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আর ভারতের শাসকদলের একাধিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশের বিরোধী বিএনপি-জামাত জোট নিয়ে ‘সতর্কবার্তা’ দিয়েছে আওয়ামি লিগ সদস্যরা।

জানা গিয়েছে, ভারত সফরে আসা আওয়ামি লিগের প্রতিনিধি দলের সভাপতিত্ব করেন সে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তথা দেশের কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। তাছাড়াও পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব তথা তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং বাংলাদেশের দুই মহিলা সংসদ সদস্য – আরমা দত্ত, মেরিনা জাহান। এই দলটি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেন দিল্লিতে। মন্ত্রী পীযূষ গোয়ালের সঙ্গেও বৈঠক করেন আওয়ামি লিগ নেতারা। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দুই দলের নেতাদের মধ্যে কিছু কথা হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের উদ্দেশে আমাদের বার্তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা থাকলে দুই দেশের জন্য তা মঙ্গলের। শেষ হাসিনার দল কোনও ভাবেই বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ হতে দেবে না। এই আবহে বিজেপি নেতৃত্ব আমাদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।’

সাম্প্রতিক কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঠিক করার জন্য দিল্লিকে মধ্যস্থতার আর্জি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এরই মাঝে আওয়ামি লিগের প্রতিনিধি দলের ভারতে আগমনের বিষয়টি উপমহাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে যখন আমেরিকা ‘অসন্তুষ্ট’, তখন ভারত সরকার এবং ভারতীয় জনতা পার্টি যে আওয়ামি লিগের ‘পাশে রয়েছে’, এই সফরে সেই বার্তাই যেন স্পষ্ট। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল বাংলাদেশে। সেদেশে আরও একটি সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে। এই আবহে কয়েকদিন আগেই অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অসম্মান করা ব্যক্তিদের মার্কিন ভিসা দেওয়া হবে না।’ এদিকে গত নির্বাচনগুলিতে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে এসেছে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগ। এই সবের মাঝেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার দিকে মন দিয়েছে আওয়ামি লিগ।