এবার নবম শ্রেণির ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু সামনে এল, খাস কলকাতায় তোলপাড় কাণ্ড

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে এখন শহরে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। আর তার মধ্যেই নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর সামনে চলে এল। বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনাও কি আত্মহত্যা?‌ নাকি নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই ঘটনাটি বুধবার বেশি রাতে ঘটলেও প্রকাশ্যে এসেছে আজ, বৃহস্পতিবার।

এদিকে ওই ছাত্রীকে রাতে অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু তাতে সাড়া না পেয়ে দরজা ভাঙা হয়। আর তখনই উদ্ধার হয় নাবালিকা ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই মৃত্যুও আত্মহত্য়া কিনা তা নিশ্চিত নয় পুলিশ অফিসাররা। আসলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখার পরই এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রীর নাম পালবনি মণ্ডল। বয়স ১৪।

পরিবার ঠিক কী বলছে?‌ অন্যদিকে ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার সূত্রে খবর, নবম শ্রেণির এই ছাত্রী বেশিরভাগ সময় তার দিদার কাছেই থাকত। সেখানেই পড়াশোনা করতো। দিদার বাড়ি পর্ণশী থানা এলাকায়। আর ছাত্রীর মা থাকত কালচার মাঠের কাছে ভাড়া বাড়িতে। সেখানেও যাতায়াত করত ছাত্রী। কর্মসূত্রে বাবা অন্য রাজ্যে থাকেন। বুধবার রাতে মেয়েটি দিদার কাছেই ছিল। রাত ১২টা নাগাদ তাকে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু সাড়া পাননি দিদা। তখন তাঁর সন্দেহ হলে পড়শিদের ডাকেন। তারপর পড়শিরা এসে দরজা ভেঙে ফেলে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌এখন পিএসসি’‌র অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে’‌, আক্ষেপ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ পড়শিরা দরজা ভাঙতেই দেখা যায়, সিলিংয়ের একটি রড থেকে ঝুলছে ওই নবম শ্রেণির ছাত্রী। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্কুলে যাওয়ার নাম করে বেরলেও স্কুলে যেত না ছাত্রীটি। স্কুলে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াত। এই ঘটনাটি জানাজানিও হয়ে যায়। মা জানতে পেরে তাকে বকাও দেন। সেই অভিমানেই ছাত্রীটি আত্মহত্য়া করেছে কিনা সেটা নিশ্চিত নয় পুলিশ।