Modi on Manipur: বিরোধীশূন্য লোকসভায় মণিপুরের মহিলাদের বিশেষ বার্তা মোদীর

সংসদে এদিন মণিপুর ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের একবার কংগ্রেসের শাসন প্রসঙ্গ টেনে আনেন মোদী। তিনি এদিন মণিপুরের বাসিন্দাদের শান্তি ফেরানোর বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। মণিপুরে বিগত কয়েক বছরে সরকারে থাকা কংগ্রেসকে নিয়ে এদিন মোদী বৃহস্পতিবার সুর চড়ান। এদিকে, বর্তমানে জাতি দাঙ্গায় বিধ্বস্ত মণিপুর। শতাধিক মানুষ সেখানে দাঙ্গায় মৃত। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মণিপুর নিয়ে যাতে মুখ খোলেন তা নিয়ে চাপ বাড়াতে থাকে বিরোধীরা। সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনার মাঝে মণিপুর ইস্যুতে মোদী কী বললেন দেখা যাক। 

সংসদে মণিপুর ইস্যু নিয়ে মুখ খুলে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আমি মণিপুরের মা-বোনদের বলতে চাই, দেশ ও সংসদ আপনাদের সঙ্গে আছে। আমি মণিপুরের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমরা মণিপুরের উন্নয়নে কাজ করব। ’ তিনি বলেন, ‘মণিপুরে মহিলাদের সঙ্গে যা হয়েছে তা ভোলার নয়।’ মণিপুরকে আশ্বাসের সপরে মোদী বলেন, দেশ তাঁদের সঙ্গে রয়েছে।  মোদী বলেন, মণিপুরের কঠিন পরিস্থিতির জন্য দায়ী কংগ্রেস।এই ইস্যুতে মণিপুরে উগ্রপন্থা থেকে শুরু করে একাধিক অশান্তির ঘটনা সামনে আনেন মোদী। এদিন প্রথম থেকেই মোদী বিরোধীদের দিকে তোপ দাগতে থাকেন। মোদী এদিন শুরু থেকেই বিরোধীদের দিকে তোপ দাগতে থাকেন। এদিন শুরুতেই তিনি বিরোধীদের লক্ষ্য করে বলেন, বিরোধীরা যখনই অনাস্থা প্রস্তাব ডাকেন, তখনই তা এনডিএকে সাহায্য করেছে। এপ্রসঙ্গে তিনি ২০১৮ সালের কথা বলেন। সেবারও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধীরা। তবে তারপর ২০১৯ সালে বিপুল ভোট সঙ্গে নিয়ে ফের একবার সংসদে শাসকদলের দিকে বসে বিজেপি সমেত এনডিএ জোট। মোদী বলেন,বিপক্ষের একটা ‘বরদান’ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, বিপক্ষ যখনই যার কারোরই খারাপ চায়, তারই ভালো হয়। আর এই অনাস্থা প্রস্তাব তাঁর সরকারের পক্ষে সেরকমই একটি দিক। সংসদে এদিন ভাষণের সময় মজার ছলে মোদী বলেন, ‘ফিল্ডিং সাজিয়েছেন বিরোধীরা তবে চার আর ছয় আমরা মারছি।’

এদিকে, মোদীর ভাষণের মাঝেই সংসদ ছেড়ে বেরিয়ে যান বিরোধীরা। তাঁরা অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন। এদিকে, সেই প্রসঙ্গক্রমে মোদী বলেন,’ওঁদের ধৈর্য নেই শোনার’। এদিকে, বিরোধী পক্ষ INDIA জোট জানিয়েছে,’ দুর্ভাগ্যজনক যে মণিপুরে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের ব্যর্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী দায়িত্ব নেননি। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর আমলে এত মহিলা ধর্ষিত হয়েছে, রাজ্য ভাগ হয়েছে, ৬০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে, সাধারণ মানুষের হাতে একে ৪৭। এমন নিরাপত্তাহীন পরিবেশ তৈরি করেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করছেন না।’ তাঁরা বলেন, ‘ তিনি বলেননি কবে তিনি মণিপুর সফর করবেন…আজও তাদের কাছে স্থায়ী সমাধান নেই, মণিপুরে কবে শান্তি ফিরে আসবে তার কোনো রোডম্যাপ নেই। সমগ্র মণিপুর রাজ্য প্রধানমন্ত্রীর কথায় অসন্তুষ্ট ও দুঃখিত…তাই I.N.D.I.A. জোট ওয়াক আউট করেছে।’