EG.5 virus: EG.5 করোনা ভাইরাস কি বিপজ্জনক হয়ে উঠবে গোটা বিশ্বে? জানিয়ে দিল WHO

EG.5 করোনা‌ ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন। এবার তাকেই ‘ভ্যারিয়ান্ট অব ইন্টারেস্ট’ বলে ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনে ছড়িয়ে পড়েছে করনোভাইরাসের এই নয়া রূপ। সে সম্পর্কেই এমনটা ঘোষণা হু-এর। তবে এর জন্য জনস্বাস্থ্যে (পাবলিক হেলথ) তেমন বিপজ্জনক  প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

(আরও পড়ুন: আলুর খোসা ত্বকে মাখলে আদৌ কি উপকার মেলে? আসল সত্যিটা হয়তো জানেন না অনেকেই)

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে Eg.5 নামের নয়া স্ট্রেনটি ১৭ শতাংশেরও বেশি হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আমেরিকা ছাড়াও চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও কানাডার বেশ কিছু জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস‌‌ এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত যা তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা গিয়েছে EG.5 ভাইরাস জনস্বাস্থ্যের জন্য তেমন বিপজ্জনক নয়। অন্তত ওমিক্রন সংক্রমণের মতো এটি বিপজ্জনক আকার নেবে না বলেই জানাচ্ছে হু। তবে এই বিবৃতি প্রাথমিক গবেষণার ভিত্তিতে তৈরি বলে জানানো হয়েছে। এখনও প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আরও বিশ্লেষণ করে উচ্চ পর্যায়ের অনুসন্ধান করা বাকি আছে বলেআ জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

(আরও পড়ুন: এক ইনজেকশনই কমাবে ওজন আর হৃদরোগের ঝুঁকি! কী নাম, কোথায় মেলে জানেন)

প্রসঙ্গত, করোনার কবলে পড়ে গত বছরগুলিতে ৬৯ লাখ মানুষ মারা গিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা এই সময়ে ছিল প্রায় ৭৬ কোটিরও বেশি। ২০২০ সালের মার্চ মাস নাগাদ করোনাকে প্যানডেমিক বলে ঘোষণা করা হয়। তিন বছরেরও বেশি হময় ধরে এই প্যানডেমিক তকমা জারি ছিল। সম্প্রতি চলতি বছরের মে মাসে এই প্যানডেমিক তকমা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। রোগটির জন্য ‘জরুরি অবস্থা’র তকমাকেও প্রত্যাহার করা হয়। 

নয়া স্ট্রেন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান মারিয়া ভন কারখোভ বলেন, সংক্রমণের সংখ্যার‌ দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে EG.5 ভাইরাস। কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ে ওমিক্রন যেভাবে আরেক ত্রাস হয়ে উঠেছিল, তেমনটা হবে বলেই আশাবাদী তিনি। ওমিক্রন ভাইরাসের সংক্রমণের প্রকৃতির থেকে অনেকটাই আলাদা ইজি.৫ ভাইরাস। তবে ঝুঁকি যে নেই তেমনটাও নয়। ‘ভ্যারিয়ান্ট অব ইন্টারেস্ট’ তকমা দিয়ে বিশেষ বিবৃতা জারি করা হলেও এই ভাইরাসের ভবিষ্যত আচরণ নিয়ে এখনও সংশয়ের অবকাশ রয়ে গিয়েছে। তাই ঝুঁকির আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না হু-এর বিজ্ঞানীরা।