Minority Votebank: তৃণমূলের দিক থেকে সরছে সংখ্যালঘু ভোট, আমাকে দলে টানতে লোভ দেখাচ্ছে, বিস্ফোরক নওশাদ

সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক যার দিকে, বাংলায় ক্ষমতা থাকবে তার দিকে। এটাই যেন অলিখিত নিয়ম বাংলায়। ভালোই চলছিল ফর্মুলাটা। কিন্তু আচমকাই সেখানে এসে বাগড়া দিল আইএসএফ। ভাঙড়ে ক্ষমতা রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে নিরন্তর লড়াই। প্রাণও গিয়েছে অনেকের। তবে এবার তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।

সংবাদমাধ্য়মের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুলিশ যেভাবে আচরণ করছে তাতে দুষ্কৃতীদের থেকে কম কিছু নয়। ভাঙড়ে সহ অন্যান্য জায়গায় যে কাজ করছে ওরা এখানে যে তাণ্ডব চালাচ্ছে সেটা পুলিশের পোশাক পরে। হাতে বোমার ব্যাগ নিয়ে থাকছে পুলিশ। এতদিন শুনতাম এদিক ওদিক বোমা উদ্ধার করা হচ্ছে। আমি ভাবতাম তৃণমূল বোমা রেখে হয়তো পুলিশকে দিয়ে উদ্ধার করাচ্ছে। কিন্তু এখন তো দেখছি অন্য ব্যাপার। সেসব জায়গায় আগে কি পুলিশ বোমা রেখে আসছে, তারপর সেই বোমা উদ্ধার করতে যাচ্ছে। আমার বাড়ির সামনে যে অভিজ্ঞতা হল তাতে দেখলাম পুলিশ বোমা নিয়ে যাচ্ছে। আমরা কোর্টের যাচ্ছি। বিধায়কের ঘর লক্ষ্য করে কীভাবে ইঁট ছুঁড়েছে। তার মানে যারা পুলিশে কাজ করছে তারা পারদর্শী নয়।

নওশাদ বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ারকে দিয়ে খাঁকি পোশাক পরে হয়তো এসব করাচ্ছে। এসপির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। কপি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠাব। আমার সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে পেরে উঠতে পারছে না। সেকারণে সংখ্য়ালঘু,সংখ্যাগুরু হিসাবে ধরে রাখত। কাউকে ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ধরে রাখত। কাউকে আবার ভয় দেখিয়ে ধরে রাখত। আমি ধর্মের নিরিখে ভোট নয়। সিএএ দেখিয়ে ভোট নয়। বিজেপির জুজু দেখিয়ে ভোট নয়। ভোট হতে হবে উন্নয়নের নিরিখে। এই কথা বলে সারা বাংলা চষে বেড়াচ্ছি। এতে শাসকের সমস্যা হচ্ছে। ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে উত্তরাধিকার সূত্রে একটা বড় পার্সেন্টেজ ভোট নিজের পকেটে রেখেছিল।এখন যতদিন যাচ্ছে তাতে শাসকের অসুবিধা হচ্ছে। আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়েছিল যাতে আমি শাসকের সঙ্গে যুক্ত হই। কিন্তু আমি যুক্ত হইনি।

তবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ভাঙড়ে শান্তি ফিরুক এটা আমরা চাই।