কিং ঝড়ে ভারতকে হারিয়ে সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের

আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট না পেয়ে ওই প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে সাফল্য মিললো। ফ্লোরিডার লডারহিলে সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে হারালো ক্যারিবিয়ানরা।

নিকোলাস পুরান ও ব্র্যান্ডন কিংয়ের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের কাছে টেস্ট ও ওয়ানডেতে হারের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলো তারা ৩-২ ব্যবধানে। 

বজ্রপাতের কারণে কয়েক দফায় বন্ধ হয় ম্যাচ। তবে নির্ধারিত ২০ ওভারেই শেষ হয়েছে দুই দলের লড়াই। টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সূর্যকুমার যাদবের হাফ সেঞ্চুরিতে ভারত করে ৯ উইকেটে ১৬৭ রান। জবাবে ১৮ ওভারে ২ উইকেটে ১৭১ রান করে ক্যারিবিয়ানরা।

আগের দিন ভারতের ৯ উইকেটের জয়ের নায়ক যশস্বী জয়সওয়াল মাত্র ৫ রানে ফিরে যান। আকিল হোসেন আরেক ওপেনার শুবমান গিলকেও (৯) নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান।

১৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে তিলক ভার্মাকে নিয়ে ৪৯ ও পঞ্চম উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েন সূর্যকুমার। তার ৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস ছিল সেরা।

সূর্যকুমার বাদে আর কারও ব্যাট হাসেনি। রোমারিও শেফার্ডের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ দিকে ৩১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় ভারত। তাতে হয়নি প্রত্যাশিত স্কোর।

শেফার্ড সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন। দুটি করে পান জেসন হোল্ডার ও আকিল।

লক্ষ্যে নেমে কাইল মায়ার্সকে দলীয় ১২ রানে হারায় উইন্ডিজ। ব্যাটিং পজিশনে এগিয়ে ক্রিজে নামেন পুরান। ওপেনার কিংকে নিয়ে জয়ের ভিত গড়ে ফেরেন তিনি। যদিও হাফ সেঞ্চুরি হয়নি মাত্র ৩ রানের জন্য। দুজনের জুটিতে আসে ১০৭ রান। ৩৫ বলে ১ চার ও ৪ ছয়ে ৪৭ রান করেন পুরান।

তারপর শাই হোপকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নেন কিং। ৫৫ বলে ৫ চার ও ৬ ছয়ে ৮৫ রানের ঝড় তুলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অন্য প্রান্তে ২২ রানে খেলছিলেন হোপ। দুজনের জুটি ছিল ৫২ রানের।  

ম্যাচসেরা হয়েছেন শেফার্ড। ১৭৬ রান করে সিরিজের সেরা পুরান।