JU Student Death: যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যু মামলায় দ্বিতীয় বর্ষের ২ ছাত্রকেও পুলিশ হেফাজত দিল আদালত

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুতে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার দুই ছাত্রকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। দুই ছাত্র আদালতে তাঁদের গ্রেফতারির বিরোধিতা করেন। কিন্তু আদালত তাঁদের যুক্তি না মেনে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। 

ছাত্রমৃত্যু মামলায় রবিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় যাদবপুরের দুই পড়ুয়া  মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে। শনিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার বিকাল তিনটে নাগাদ তাঁদের আদালতে তোলা হয়। আদালতে দুজনের আইনজীবী বলেন, এফআইআরএ মক্কেলদের নাম নেই। তাঁরা বলেন, মক্কেলদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এখনও পুরো সত্য প্রকাশ্যে না আসার আগে হত্যা মামলা দেওয়া উচিত হবে না। এর পর আদালত দুজনকে ১০ দিনের পুলিশ হেফজাতের নির্দেশ দেয়।

এর আগে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তাঁর বিরুদ্ধে হোস্টেলে থাকার অভিযোগ ছিল। তাঁকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সৌরভকে জেরা করেই অন্য দুজনের নাম জানতে পারা যায়।

প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে প্রথমবর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় রবিবার প্রকাশ্যে আসে এক রহস্যজনক চিঠি। ১০ অগাস্ট তারিখে লেখা ওই চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন মৃত ছাত্র। যদিও এদিন আদালতে আরেক ছাত্র জানিয়েছেন, নিহত ছাত্রকে দিয়ে জোর করে ওই চিঠি লিখিয়েছিলেন দ্বিতীয়বর্ষের ২ ছাত্র।

(পড়তে পারেন। প্রকাশ্যে JUর মৃত ছাত্রের রহস্যময় চিঠি, জোর করে লেখানো হয়েছিল, আদালতে বলল সাক্ষী)

এদিন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা মৃত ছাত্রের মামার বাড়িতে যান।  কমিশনের চেয়ারপার্সন অন্যান্য চক্রবর্তী দাবি করেন, মৃত ছাত্রের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়ছিল। প্রথমবর্ষের ছাত্রটি নিজেই ভাইকে ফোন করে জানিয়েছিলেন, তাঁকে সমকামী ব্যঙ্গ করা হতো। একেই যৌন হেনস্থারই সামিল বলে মত অন্যন্য চক্রবর্তীর। তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রটি নাবালক, তাই পকসো আইনে এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি নাবালক ছাত্রের নাম উল্লেখ না করতেই অনুরোধ জানিয়েছেন।