19th Round Military talks: ব্রিকস সামিটে যোগ দেবেন মোদী, তার আগে লাদাখে ১৯তম সামরিক আলোচনায় ভারত-চিন

রাহুল সিং

১৯রাউন্ড সামরিক আলোচনায় অংশ নিল ভারতীয় সেনা ও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। সোমবার পূর্ব লাদাখে এই সামরিক আলোচনা হয়েছে। ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের দিনই আলোচনায় বসল ভারত-চিন। সীমান্তের শান্তি ও স্থিরতা ফেরাতে এই উদ্যোগ। প্রায় তিন বছর ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্থিরতা চলছে। সেকারণেই এবার ১৯ রাউন্ডের আলোচনা।

চুসুল-মলডো মিটিং পয়েন্টে এই আলোচনা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় এই আলোচনা শুরু হয়েছিল। এটা শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায়। তবে শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতে এই আলোচনার ফলে কী সিদ্ধান্ত হল তানিয়ে বিশেষ কিছু জানা যায়নি।

গত ২৩ এপ্রিল ১৮ রাউন্ডের আলোচনা হয়েছিল। এরপর এদিন ফের আলোচনা। তবে আগের আলোচনা গুলোতেও মূলত পারস্পরিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এর আগে মূলত চারটি পয়েন্ট থেকে সেনা সরিয়ে নেয় চিন ও ভারত দুপক্ষই। সেগুলি হল, গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো, গোগরা, হটস্প্রিং। তবে এখনও প্রায় হাজার দশেক সেনা সীমান্তে আছে। লাদাখে অত্যাধুনিক অস্ত্রও মোতায়েন করা আছে।

হট স্প্রিং এলাকা থেকে শেষবার সেনা সরানো হয়েছে বলে খবর। ২০২২ সালের জুলাই মাসে ১৬ তম সামরিক পর্যায়ে আলোচনার পরে এই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।

সেই ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাস থেকে ভারত ও চিনের মধ্য়ে সীমান্ত সমস্যা প্রকট রূপ ধারণ করেছিল। ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় ২০জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছিল সংঘর্ষে। তবে হিসেব বলছে চিনের অন্তত দ্বিগুণ সেনার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু চিন বিষয়টি মানতে চায়নি। তাদের দাবি তাদের মাত্র ৪জন সেনার মৃ্ত্যু হয়েছিল। তবে ভারত বার বারই বলে দিয়েছে, সীমান্তে স্বাভাবিক পরিস্থিতি না ফেরা পর্যন্ত কোনওদিনই ভারত ও চিনের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।

এদিকে ২২-২৪ অগস্ট জোহেন্সবার্গে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেবেন মোদী। তার আগে এই সামরিক পর্যায়ের আলোচনা। এদিকে চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জি-২০ মিটিংয়ে দিল্লিতে আসতে পারেন।

এদিকে এর আগে গত বছর ইন্দোনেশিয়াতে জি-২০ মিটিংয়ে মোদী ও জিনপিংয়ের মধ্য়ে কিছুটা কথা হয়েছিল বলে খবর। তবে এবার দুপক্ষই আলোচনায় বসল ফের। কী সিদ্ধান্ত হল তা দিন দুয়েকের মধ্যেই জানা যেতে পারে।