JU Student Death: নিহত ছাত্রকে চাপ দিয়ে লেখানো হয়েছিল চিঠি, বাধ্য করা হয় সই করতে, দাবি পুলিশের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ক্রমশ রহস্য বাড়ছে। হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার ডায়েরিতে যে চিঠি পাওয়া গিয়েছে তা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। তাদের দাবি, সিনিয়রদের বয়ান ওই চিঠিতে লিখতে বাধ্য করা হয়েছিল। তার পর তাতে সই করতে চাপ দেওয়া হয় নিহত ছাত্রকে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, নিহত ছাত্রকে দিয়ে ওই চিঠি লিখিয়েছিলেন দীপশেখর দত্ত নামে গ্রেফতার হওয়া এক ছাত্র।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, চিঠি রহস্য সমাধান করতে গিয়ে তাঁদের মনে হচ্ছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির শিকার নিহত ছাত্রটি। তাদের দাবি, মৃত্যুর আগে যাদবপুরের নিহত ছাত্রকে দিয়ে জোর করে একটি চিঠি লেখানো হয়েছিল। ডিন অফ স্টুডেন্টকে উদ্দেশ করে লেখা ওই চিঠিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগেরই এক ছাত্রের বিরুদ্ধে নিহত ছাত্রকে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, সেই ছাত্র হুমকি দিয়েছেন, সিনিয়রদের কথা শুনে না চললে ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হবে। যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি হস্টেলের আবাসিকই নন। চিঠির নীচে নিহত ছাত্রের সইও রয়েছে। তবে সেই সই ছেলের নয় বলে জানিয়েছেন নিহত ছাত্রের বাবা।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে নিহত ছাত্রকে দিয়ে ওই চিঠি লিখিয়েছিলেন দীপশেখর দত্ত নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র। তাঁকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় চিঠি লেখানোর কথা স্বীকার করেছে সে। তবে সই তাঁর নয় বলেই জানিয়েছে।

তদন্তকারীদের অনুমান, নির্যাতিত ছাত্র কোনও রকম চরম পদক্ষেপ করে ফেলতে পারে তা আগেই অনুমান করেছিলেন নির্যাতনকারীরা। তাই তাঁকে দিয়ে চিঠি লিখিয়ে অন্যের ঘাড়ে দায় ঠেলার পুরো পরিকল্পনা করে রেখেছিল তারা। এমনকী ঘটনার রাতে ডিন অফ স্টুডেন্টসকে ফোন করে সিনিয়ররা যে বিবরণ দিয়েছিলেন তার সঙ্গে চিঠির বয়ান মিলে যাচ্ছে। গোলমাল বেঁধেছে এক জায়গাতেই, প্রথমবর্ষের ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে ৯ অগাস্ট রাতে। আর চিঠি লেখা হয়েছে ১০ অগাস্টের তারিখে।